কটিয়াদি-পাকুন্দিয়া’য় দৃষ্টিতে প্রেসিডেন্টপুত্র রাসেল আহমেদ তুহিন(ভাই)

মনোয়ার হোসাইন রনিঃ  রাসেল আহমেদ তুহিনও পাকুন্দিয়ায় তার অনুসারী নেতাকর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। আওয়ামীলীগ ও সাধারণ মানুষের কাছে কাছে ভালো ইমেজ রয়েছে, এলাকায় সুপরিচিত, সংগঠক হিসেবে দক্ষ,  সততা, নিষ্ঠা ও দানবীর এমন যোগ্যতা রয়েছে যাদের, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব যোগ্যতা সম্পন্ন নেতাদের সারাদেশ থেকে বাছাই করে তালিকা করা শুরু করেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করা এই তালিকা ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ওই সূত্রগুলো জানায় , শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে এসব গুণাবলী যাদের রয়েছে, তারাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন। আগামী নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। এখানে দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজ-কারিশমাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই উল্লিখিত যোগ্যতা ও গুণাবলী যাদের রয়েছে, তাদের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত বলে নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে নেত্রীর নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও হিসাবনিকাশ শুরু হয়ে গেছে। কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, কে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য, এসব বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। নিয়মিত এগুলো নিয়ে স্ট্যাডি করছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্য একটি সূত্র জানায়, সভাপতি শেখ হাসিনা এবার দুইশ আসনে এমন প্রার্থী দিতে চান, যারা মনোনয়ন পাওয়া মানেই তাদের বিজয় নিশ্চিত। এ ধরনের প্রার্থী খুঁজে বের করতে কাজ করছেন তিনি। আর তাদের মধ্যে অবশ্যই উল্লিখিত গুণাবলী থাকতে হবে বলে ঘনিষ্ঠদের অবহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে ২০১৪ সালে মনোনয়ন পাওয়া অনেক এমপির কপাল পুড়তে পারে। সর্বশেষ সংসদীয় দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সংসদ সদস্যদের ইঙ্গিত করে বলেছেন, এবার কাউকে পাস করানোর দায়িত্ব আমি নিতে পারবো না। এবার যার যার জয় সে-ই ছিনিয়ে আনতে হবে।

গত কিছুদিন যাবত কিশোরগঞ্জ-২ আসনে (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) প্রার্থী হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহাম্মদ তুহিন। নিজের বাড়ি মিঠামইনে হলেও তার বড়ভাই রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সেখানকার সংসদ সদস্য । এতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ যেভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তাতে পরিস্কার যে কটিয়াদি-পাকুন্দিয়া’র সব স্থরের মানুষের কাছে কতটা জনপ্রিয় রাসেল আহাম্মদ তুহিন ।

স্থানীয় জনসাধারণ মনে করেন বর্তমানে কটিয়াদি-পাকুন্দিয়ার রাজনীতির মাঠে রাসেল আহাম্মদ তুহিন  মত কর্মট,দক্ষ সংগঠক, সততা, নিষ্ঠা, শিক্ষিত, যোগ্যতা সম্পন্ন, এলাকায় সুপরিচিত ও দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে গ্রহণ যোগ্য দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি নেই ।
এছাড়া কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের বানিয়াগ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের জামাতা প্রেসিডেন্টপুত্র রাসেল আহাম্মদ তুহিন কটিয়াদী উপজেলায়ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়াসহ নানাভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদকর্মীরা রাসেল আহাম্মদ তুহিনের মতামত জানতে চাইলে তিনিও আগামী দিনে কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান। তবে মুরুব্বিরা আছেন, তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, রাসেল আহাম্মদ তুহিন দীর্ঘদিন যাবৎ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। তার একটি বড় গুণ হচ্ছে, তিনি তার পিতা প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মতোই সবাইকে সহজে আপন করে কাছে টেনে নিতে পারেন। তরুণ এ নেতাকে ঘিরেশুরু পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীর রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণ শুরু হয়েছে বলেও জানান দলীয় নেতাকর্মীরা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর