ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ বছর নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছি : কাজী রকিবউদ্দীন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • ২৪২ বার

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল। ওই নির্বাচন না হলে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। এক কঠিন পরিস্থিতিতে দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন বিকল্প ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

বুধবার সিইসি শেষ কর্মদিবসে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, নিজেদের নিরপেক্ষতার প্রমান দিয়ে গত ৫ বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। শপথ নেয়ার পর বলেছিলাম সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবো।

নির্বাচন কমিশন সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অবাধ সুষ্ঠুভাবে সকল নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষতা প্রমাণ করেছি।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘ওই নির্বাচন না হলে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। এক কঠিন পরিস্থিতিতে দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন বিকল্প ছিল না। কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশকে সাংবিধানিক শুন্যতা থেকে রক্ষা করেছে।’

তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি বড় দল অংশগ্রহণ না করলেও কমিশনের নিবন্ধিত ১২টি রাজনৈতিক দল স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা ও প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাচন হলেও কমিশনের সুদক্ষ পরিচালনায় ৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে এমন ১৪৭টি নির্বাচনী এলাকার মোট ১৮ হাজার ২০৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে শুধু মাত্র ২০৪টি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়, যা মোট ভোটকেন্দ্রের মাত্র ১ দশমিক ১২ শতাংশ।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পরিষদের ৭ হাজার ৮৮টি সাধারণ ও উপ-নির্বাচন পরিচালনা করেছে। এবারই প্রথম রাজনৈতিক দলীয় ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলীয়ভিত্তিতে হওয়ায় স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচনও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান ছিল একটি চ্যালেঞ্জ। এরপরও কমিশন প্রতিটি নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৫ বছর নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছি : কাজী রকিবউদ্দীন

আপডেট টাইম : ১১:১৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল। ওই নির্বাচন না হলে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। এক কঠিন পরিস্থিতিতে দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন বিকল্প ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

বুধবার সিইসি শেষ কর্মদিবসে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, নিজেদের নিরপেক্ষতার প্রমান দিয়ে গত ৫ বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। শপথ নেয়ার পর বলেছিলাম সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবো।

নির্বাচন কমিশন সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অবাধ সুষ্ঠুভাবে সকল নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষতা প্রমাণ করেছি।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘ওই নির্বাচন না হলে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। এক কঠিন পরিস্থিতিতে দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন বিকল্প ছিল না। কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশকে সাংবিধানিক শুন্যতা থেকে রক্ষা করেছে।’

তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি বড় দল অংশগ্রহণ না করলেও কমিশনের নিবন্ধিত ১২টি রাজনৈতিক দল স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা ও প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাচন হলেও কমিশনের সুদক্ষ পরিচালনায় ৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে এমন ১৪৭টি নির্বাচনী এলাকার মোট ১৮ হাজার ২০৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে শুধু মাত্র ২০৪টি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়, যা মোট ভোটকেন্দ্রের মাত্র ১ দশমিক ১২ শতাংশ।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পরিষদের ৭ হাজার ৮৮টি সাধারণ ও উপ-নির্বাচন পরিচালনা করেছে। এবারই প্রথম রাজনৈতিক দলীয় ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলীয়ভিত্তিতে হওয়ায় স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচনও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান ছিল একটি চ্যালেঞ্জ। এরপরও কমিশন প্রতিটি নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করেছে।