গণভবন এখন ‘সান্ত্বনা ভবন’: রিজভী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনকে ‘সান্ত্বনা ভবন’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক পথসভায় তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকারের লোকজনের মাধ্যমে কোনো হত্যাকাণ্ডের পর যখন আর সামাল দিতে পারে না, তখন তারা নাটক তৈরি করে।

‘ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য সরকার অনুগত প্রচারমাধ্যমকে ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালায়। হত্যার শিকার হতভাগ্যের পিতামাতা বা স্বজনদের গণভবনে ডেকে নিয়ে সান্ত্বনার নামে প্রহসনের নাটক তৈরি করা হয়।’

ভারতের সঙ্গে চুক্তি ও বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হত্যাকারীকে সর্বোচ্চ শান্তির গ্যারান্টি দেন বটে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির নামে অপপ্রচার চালাতে থাকেন। যেমন আবরার ফাহাদ হত্যাকে শিবিরের কর্মী সন্দেহে হত্যা হিসেবে চালানো হচ্ছে। একইভাবে শহীদ আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর ফুঁসে ওঠা আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্য তার পিতামাতাকে ডেকে নেয়া হয় গণভবনে।
‘সেখানে প্রধানমন্ত্রী আবরার ফাহাদ হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। জনগণ নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি যে, ইতিপূর্বে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী-সন্তানদেরও গণভবনে ডেকে নিয়ে সান্তনা দেয়া হয়েছিল। তাকে উদ্ধার এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আজও ইলিয়াস আলীর পরিবার তার সন্ধান পায়নি।’

তিনি বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির মা-বাবাও গণভবনের আশ্বাস পেয়েছিলেন। বিশ্বজিতের মা-বাবা, নুসরাতের মা-বাবা, তনুর বাবাকেও গণভবনে ডেকে নিয়ে বিচারের গ্যারান্টি ও সান্ত্বনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব মামলার কী পরিণতি হয়েছে দেশবাসী তা জানেন।

রিজভী বলেন, জনগণ এই গণভবনের নাম পরিবর্তন করে ‘সান্ত্বনা ভবন’ নামে ডাকতে শুরু করেছেন। ডাক্তারের ‘সরি’ শব্দটি যেমন রোগীর স্বজনের কাছে চরম ভয়ঙ্কর, গণভবনের ‘সান্ত্বনা’ শব্দটিও স্বজনহারাদের কাছে তেমনই ভয়ঙ্কর! সান্ত্বনার নামে গণভবনের এই প্রহসন যেন দেশবাসীকে আর দেখতে না হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর