ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ম্যানেজিং কমিটির অশিক্ষিতরা শিক্ষকদের ওপর বেশি কর্তৃত্ব ফলান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯
  • ২২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে ব্যবস্থাপনা কমিটির অশিক্ষিতরা শিক্ষকদের ওপর বেশি কর্তৃত্ব ফলান। শিক্ষকদের সম্মান দেয়ার মত শিক্ষিত লোক ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে।

বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিক্ষক সম্মেলন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একসেস টু ইনফরমেশন এটুআই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আর এতে সহযোগিতা দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটিগুলোতে আরো স্বচ্ছতার আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে উপমন্ত্রী বলেন, আদর্শিক দিক থেকেও তো জনগণের প্রতি আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের উচিত শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চিত করে এবং শিক্ষা সম্পর্কিত ব্যক্তিদের স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সংযুক্ত করা। তখন শিক্ষকরা অনুপ্রাণিত হবেন, তারা স্বাধীন থাকবেন এবং তারা স্বীকৃতিও পাবেন। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা যারা দায়িত্বে আছি, অপরাধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি এই স্কুল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের স্মরণ রাখা উচিত একজন শিক্ষককে সম্মান দিতে হবে, যাতে শিক্ষক সেই বিদ্যালয়ে টিচিংটা কীভাবে দিতে হবে সেই বিষয়ে নেতৃত্ব দিতে পারেন।

নওফেল বলেন, এখন গুণগত শিক্ষার কথাটা বলছি আমরা ব্যাপক প্রযুক্তির ব্যবহার করছি ক্লাসগুলোতে, অবকাঠামোগুলো উন্নত করছি বিদ্যালয়ের। একেবারে গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ইন্টারনেট সুবিধা সবকিছু দেয়া হচ্ছে। হার্ডওয়্যারগুলো ঠিকমতোই আছে, আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে সফটওয়্যারের, অর্থ্যাৎ শিক্ষকদের। শিক্ষকরা হচ্ছেন সফটওয়্যার। আমার হার্ডওয়্যার যতই ভালো হোক না কেন সফটওয়্যারে যদি কোনো সমস্যা থাকে আমার হার্ডওয়্যার কিন্তু ঠিকমতো চলবে না। সেক্ষেত্রে, সফটওয়্যারের উন্নয়নে শিক্ষকদের স্বীকৃতি, প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

দেশে কারিগরি শিক্ষার মান অনেক বেড়েছে। শুন্য থেকে ৪০ শতাংশ হয়েছে। কারিগরিতে আমাদের অনেক অর্জন আছে। এখন সঠিক পলিসি প্রণয়ন দরকার বলেও মনে করেন মহিবুল হাসান।

শিক্ষা ব্যবস্থা হতে হবে আনন্দদায়ক এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ পদ্ধতির পরির্বতন আনতে হবে বলে, শিক্ষকদের উদ্দেশ্য আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এসময় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি গুণগত শিক্ষার উপর জোর দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একইভাবে মুল্যায়ণ করা যাবে না এবং শুধুমাত্র নম্বরভিত্তিক প্রথাগত পরীক্ষার মাধ্যম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

শেষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষকদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন মন্ত্রী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ম্যানেজিং কমিটির অশিক্ষিতরা শিক্ষকদের ওপর বেশি কর্তৃত্ব ফলান

আপডেট টাইম : ১১:৪৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে ব্যবস্থাপনা কমিটির অশিক্ষিতরা শিক্ষকদের ওপর বেশি কর্তৃত্ব ফলান। শিক্ষকদের সম্মান দেয়ার মত শিক্ষিত লোক ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে।

বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিক্ষক সম্মেলন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একসেস টু ইনফরমেশন এটুআই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আর এতে সহযোগিতা দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটিগুলোতে আরো স্বচ্ছতার আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে উপমন্ত্রী বলেন, আদর্শিক দিক থেকেও তো জনগণের প্রতি আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের উচিত শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চিত করে এবং শিক্ষা সম্পর্কিত ব্যক্তিদের স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সংযুক্ত করা। তখন শিক্ষকরা অনুপ্রাণিত হবেন, তারা স্বাধীন থাকবেন এবং তারা স্বীকৃতিও পাবেন। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা যারা দায়িত্বে আছি, অপরাধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি এই স্কুল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের স্মরণ রাখা উচিত একজন শিক্ষককে সম্মান দিতে হবে, যাতে শিক্ষক সেই বিদ্যালয়ে টিচিংটা কীভাবে দিতে হবে সেই বিষয়ে নেতৃত্ব দিতে পারেন।

নওফেল বলেন, এখন গুণগত শিক্ষার কথাটা বলছি আমরা ব্যাপক প্রযুক্তির ব্যবহার করছি ক্লাসগুলোতে, অবকাঠামোগুলো উন্নত করছি বিদ্যালয়ের। একেবারে গ্রাম পর্যায় থেকে শুরু করে পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ইন্টারনেট সুবিধা সবকিছু দেয়া হচ্ছে। হার্ডওয়্যারগুলো ঠিকমতোই আছে, আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে সফটওয়্যারের, অর্থ্যাৎ শিক্ষকদের। শিক্ষকরা হচ্ছেন সফটওয়্যার। আমার হার্ডওয়্যার যতই ভালো হোক না কেন সফটওয়্যারে যদি কোনো সমস্যা থাকে আমার হার্ডওয়্যার কিন্তু ঠিকমতো চলবে না। সেক্ষেত্রে, সফটওয়্যারের উন্নয়নে শিক্ষকদের স্বীকৃতি, প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

দেশে কারিগরি শিক্ষার মান অনেক বেড়েছে। শুন্য থেকে ৪০ শতাংশ হয়েছে। কারিগরিতে আমাদের অনেক অর্জন আছে। এখন সঠিক পলিসি প্রণয়ন দরকার বলেও মনে করেন মহিবুল হাসান।

শিক্ষা ব্যবস্থা হতে হবে আনন্দদায়ক এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ পদ্ধতির পরির্বতন আনতে হবে বলে, শিক্ষকদের উদ্দেশ্য আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এসময় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি গুণগত শিক্ষার উপর জোর দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একইভাবে মুল্যায়ণ করা যাবে না এবং শুধুমাত্র নম্বরভিত্তিক প্রথাগত পরীক্ষার মাধ্যম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

শেষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষকদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন মন্ত্রী।