হাওর বার্তা ডেস্কঃ বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন ১২১ বছর বয়সী টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের চিনাখোলা গ্রামের হাতেম আলী। লাঠিতে ভর দিয়ে কেবল বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্তই আনাগোনা তার। সরকারি নির্দেশনায় বয়স্ক ভাতা পেতে সর্বনিম্ন ৬৫ বছর বয়সসীমা ধরা হলেও অজ্ঞাত কারণে দ্বিগুণ বয়সেও বয়স্ক ভাতা পচ্ছেন না ওই বৃদ্ধ।
বৃদ্ধ বয়সে তার আক্ষেপ এখনও তিনি বয়স্ক ভাতা পাননি। প্রথমে দীর্ঘদিন তিনি চৌকিদারের (গ্রাম পুলিশ) পেছনে ঘুরেছেন ভাতার জন্য। জানতে পারেন চৌকিদারে এ দায়িত্ব না। পরে পাথরাইল ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।
এদিকে, ভাতা প্রাপ্তির সবযোগ্যতা থাকার পরও কেন বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না এমন প্রশ্ন হাতেম আলীসহ তার স্বজনদের।এ প্রসঙ্গে, হাতেম আলী বলেন, “আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক ভাতা পাব?”
হাতেম আলী জানান, “আমি কয়েকবার স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে বয়স্ক ভাতার হন্য অনুরোধ করেছি। ইউপি সদস্যের কাছেও অনুরোধ করেছি।” তবে তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়া হয়নি। নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা তাকে কার্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর আর কোন খোঁজ নেননি নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এসময় তিনি তার নাগরিক অধিকার পেতে সরকারের কাছে দাবিও জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর আনিছুর রহমান বলেন, “হাতেম আলীর জাতীয় পরিচয়পত্রে একটু সমস্যা ছিল।এজন্য তার কার্ড হয়নি। তবে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারের সাথে কথা বলে দ্রুত বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে।”
এ ব্যাপারে পাথরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফুজ্জামান লিটন বলেন, “সম্প্রতি একটি তালিকা অনুমোদন হয়েছে। আগে জানলে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেত। আগামী জুন মাসে নতুন তালিকা হবে। তখন অবশ্যই হাতেম আলীর নাম বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে।”
এ প্রসঙ্গে দেলদুয়ার উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোবারক হোসেন বলেন, “এখনও এরকম বয়স্ক লোক বয়স্ক ভাতার আওতায় পড়েনি আমার জানা ছিল না। অতিদ্রুত হাতেম আলীর বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়া হবে।”