ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শমী কায়সারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৫৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ সাংবাদিকদের সঙ্গে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ ও কটূক্তি করায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে সব ধরনের গণমাধ্যমে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সংগঠন দুটির নেতারা এই ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে তাঁরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শমী কায়সারকে ক্ষমা চাওয়ার আলটিমেটাম দেন। সমাবেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে কদম ফোয়ারা হয়ে তোপখানা রোড ও পল্টন মোড় প্রদক্ষিণ করে।

ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল আমিন রুকন, সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, ডিইউজের সহসভাপতি শাহীন হাসনাত, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ও এফবিসিসিআইর পরিচালক শমী কায়সার। তিনি ই-ক্যাবের সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে শমী কায়সার জানান, তাঁর মোবাইল ফোন দুটি খুঁজে পাচ্ছেন না। এতে উপস্থিত অর্ধশতাধিক সাংবাদিক হতভম্ব হয়ে পড়েন। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

একপর্যায়ে শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা মিলনায়তনের মূল গেট বন্ধ করে দেন। শমী কায়সার উপস্থিত সবার দেহ তল্লাশি করার কথা বললে সাংবাদিকরা তাতে সম্মতি দেন। দেহ তল্লাশি শেষে সাংবাদিকরা বের হতে চাইলে শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। এতে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকরা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করার উদ্যোগ নেন। এতে দেখা যায়, অনুষ্ঠানের লাইটিংয়ের দায়িত্ব পালনকারী এক কর্মী মোবাইল দুটি নিয়ে বের হয়ে যান। ওই দৃশ্য দেখার পর সাংবাদিকদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন শমী কায়সার।

শমী কায়সার বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অনিচ্ছাকৃত ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছে। মুঠোফোন আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সাংবাদিকদের সঙ্গে শমী কায়সারের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার বলেন, প্রেসক্লাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ থেকে সব শ্রেণির নাগরিক আসেন। এখানে এসে এর আগে কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেননি। শমী কায়সার যত ক্ষমতাশালীই হোন আর যত জনপ্রিয়ই হোন, তাঁর এ কাজটি করা সঠিক হয়নি। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। আমি আশা করব তিনি প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শমী কায়সারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

আপডেট টাইম : ১১:৩৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ সাংবাদিকদের সঙ্গে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ ও কটূক্তি করায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে সব ধরনের গণমাধ্যমে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সংগঠন দুটির নেতারা এই ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে তাঁরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শমী কায়সারকে ক্ষমা চাওয়ার আলটিমেটাম দেন। সমাবেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে কদম ফোয়ারা হয়ে তোপখানা রোড ও পল্টন মোড় প্রদক্ষিণ করে।

ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল আমিন রুকন, সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, ডিইউজের সহসভাপতি শাহীন হাসনাত, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ও এফবিসিসিআইর পরিচালক শমী কায়সার। তিনি ই-ক্যাবের সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে শমী কায়সার জানান, তাঁর মোবাইল ফোন দুটি খুঁজে পাচ্ছেন না। এতে উপস্থিত অর্ধশতাধিক সাংবাদিক হতভম্ব হয়ে পড়েন। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

একপর্যায়ে শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা মিলনায়তনের মূল গেট বন্ধ করে দেন। শমী কায়সার উপস্থিত সবার দেহ তল্লাশি করার কথা বললে সাংবাদিকরা তাতে সম্মতি দেন। দেহ তল্লাশি শেষে সাংবাদিকরা বের হতে চাইলে শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। এতে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকরা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করার উদ্যোগ নেন। এতে দেখা যায়, অনুষ্ঠানের লাইটিংয়ের দায়িত্ব পালনকারী এক কর্মী মোবাইল দুটি নিয়ে বের হয়ে যান। ওই দৃশ্য দেখার পর সাংবাদিকদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন শমী কায়সার।

শমী কায়সার বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অনিচ্ছাকৃত ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছে। মুঠোফোন আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সাংবাদিকদের সঙ্গে শমী কায়সারের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার বলেন, প্রেসক্লাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ থেকে সব শ্রেণির নাগরিক আসেন। এখানে এসে এর আগে কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেননি। শমী কায়সার যত ক্ষমতাশালীই হোন আর যত জনপ্রিয়ই হোন, তাঁর এ কাজটি করা সঠিক হয়নি। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। আমি আশা করব তিনি প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইবেন।