ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৩৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজের দুটি স্মার্টফোন চুরি যাওয়ায় প্রায় অর্ধশত সংবাদকর্মীকে আধঘণ্টারও বেশি আটকে রেখেছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। এ সময় তিনি সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছে বলে অভিযোগ করেন এবং তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করান।

এ সময় কেউ কেউ বের হতে চাইলে ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মী। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সংবাদকর্মীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানস্থলে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় অর্ধশত ফটো ও ভিডিও ক্যামেরা এবং শতাধিক মানুষের সামনে চুরি হয় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই- ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন।

ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনকালে বক্তব্য দেন শমী। বক্তব্য শেষ করে কেক কাটার সময়ই হঠাৎ করে তিনি জানান, তার স্মার্টফোন দুটি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ফোন দুটিতে কল দিয়ে তখনও সচল পাচ্ছিলেন তিনি।

শমী কায়সারের এমন মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় তার নিরাপত্তাকর্মী সবার দেহ তল্লাশি করতে চাইলে তাতে সম্মতি জানান উপস্থিত সংবাদকর্মীরা।

তল্লাশির সময় অনেকে বের হতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মী সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে ওঠেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা সাংবাদিকরা। এ ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয় সাংবাদিকদের।

পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন।

ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার। শমী কায়সার বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অনিচ্ছাকৃত ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছে। মুঠোফোন আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এ ঘটনায় একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। ফলে প্রধান অতিথি আসার আগেই অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে ফেলেন আয়োজকেরা।

এদিকে ফোন চুরি এবং এজন্য সাংবাদিকদের সন্দেহ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনে আসা সাংবাদিকেরা। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভুলে শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচার

ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার

আপডেট টাইম : ১২:০৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজের দুটি স্মার্টফোন চুরি যাওয়ায় প্রায় অর্ধশত সংবাদকর্মীকে আধঘণ্টারও বেশি আটকে রেখেছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। এ সময় তিনি সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছে বলে অভিযোগ করেন এবং তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করান।

এ সময় কেউ কেউ বের হতে চাইলে ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মী। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সংবাদকর্মীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানস্থলে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় অর্ধশত ফটো ও ভিডিও ক্যামেরা এবং শতাধিক মানুষের সামনে চুরি হয় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই- ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন।

ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনকালে বক্তব্য দেন শমী। বক্তব্য শেষ করে কেক কাটার সময়ই হঠাৎ করে তিনি জানান, তার স্মার্টফোন দুটি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ফোন দুটিতে কল দিয়ে তখনও সচল পাচ্ছিলেন তিনি।

শমী কায়সারের এমন মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় তার নিরাপত্তাকর্মী সবার দেহ তল্লাশি করতে চাইলে তাতে সম্মতি জানান উপস্থিত সংবাদকর্মীরা।

তল্লাশির সময় অনেকে বের হতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মী সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে ওঠেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা সাংবাদিকরা। এ ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয় সাংবাদিকদের।

পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন।

ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার। শমী কায়সার বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অনিচ্ছাকৃত ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছে। মুঠোফোন আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এ ঘটনায় একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। ফলে প্রধান অতিথি আসার আগেই অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে ফেলেন আয়োজকেরা।

এদিকে ফোন চুরি এবং এজন্য সাংবাদিকদের সন্দেহ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনে আসা সাংবাদিকেরা। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা।