ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওদের ছাড় দিতে পারে আওয়ামী লীগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫
  • ২৫৬ বার

দলীয় প্রতীকে হওয়ায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মহাজোটের শরিক দলগুলোকে কৌশলীপন্থায় কিছুটা ছাড় দিতে পারে আওয়ামী লীগ। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, যেসব সংসদীয় আসনে মহাজোটের শরিকেরা জিতেছেন সেই আসনগুলোর সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাঁদের মতামত নেওয়া হবে। আর তাঁদের দলীয় কোনো জনপ্রিয় প্রার্থী থাকলে সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেবে না। ১৪ দলের চারজন শীর্ষ নেতার মতে, জাতীয় নির্বাচনের আদলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জোটগতভাবে হওয়া উচিত। তাঁরা বলছেন, যে দলের অবস্থান যেখানে ভালো, সেখানে তাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয় সরকার নিয়ে এখনো জোটের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা যেহেতু জোটগত অনুশীলনের মধ্যে আছি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও সেটা থাকা ভালো। তিনি বলেন, স্থানীয় পরিস্থিতিই নির্ধারণ করে দেবে, কোন দলের কে মনোনয়ন পাবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা জোটগতভাবে জাতীয় নির্বাচন করেছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনও ঐক্যবদ্ধভাবে করার জন্য জোটের কাছে প্রস্তাব রাখব। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় চারজন নেতা বলেছেন, দলগুলোর সারা দেশে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠন মজবুত নয়। শরিক দলগুলোর কর্মীদের আধিক্য শহরকেন্দ্রিক। ফলে পুরো বাংলাদেশে তাঁদের গুরুত্ব না দেওয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগ। তবে যেসব সংসদীয় আসনে শরিক দলের সাংসদ রয়েছেন যেসব এলাকায় সমঝোতায় যেতে পারেন তাঁরা। ওই নেতারা বলেন, জাতীয় সংসদের সরাসরি ভোটে তিন শ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংসদ রয়েছেন ২৩৩ জন। রুস্তম আলী ফরাজী বাদে স্বতন্ত্র বাকি ১৫ জন সাংসদও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত। বাকি ৫২টি আসন নিয়ে তাঁদের চিন্তা। ওই আসনগুলোর মাঠপর্যায়ে অবস্থা দেখে শরিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার চিন্তা করা হবে। আওয়ামী লীগের একজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক সংসদীয় এলাকায় শরিকদের সাংসদ রয়েছেন সেখানে তাঁদের গুরুত্ব না দিয়ে নির্বাচন করাটা বোকামি হবে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যেসব আসনে শরিক দলের সাংসদেরা রয়েছেন সেখানে তাঁদের মত থাকবে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এই প্রতিবেদককে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল নিয়ে আমাদের জোট গঠন করা হয়েছিল জাতীয় নির্বাচনের জন্য। কিন্তু এটা স্থানীয় নির্বাচন। এটা কোন পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তবে আমি মনে করি, শরিক দলগুলোর কোথাও জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী থাকলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হতে পারে।’ ১৪ দলের শরিক তরীকত ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল বলেন, যে দলের অবস্থান যেখানে ভালো, সেখানে ওই দলকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। সংসদীয় আসনের ভিত্তিতে গুরুত্ব দিলে তা সমীচীন হবে না।-প্রথমআলো

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ওদের ছাড় দিতে পারে আওয়ামী লীগ

আপডেট টাইম : ১০:৩৫:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫

দলীয় প্রতীকে হওয়ায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মহাজোটের শরিক দলগুলোকে কৌশলীপন্থায় কিছুটা ছাড় দিতে পারে আওয়ামী লীগ। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, যেসব সংসদীয় আসনে মহাজোটের শরিকেরা জিতেছেন সেই আসনগুলোর সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাঁদের মতামত নেওয়া হবে। আর তাঁদের দলীয় কোনো জনপ্রিয় প্রার্থী থাকলে সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেবে না। ১৪ দলের চারজন শীর্ষ নেতার মতে, জাতীয় নির্বাচনের আদলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জোটগতভাবে হওয়া উচিত। তাঁরা বলছেন, যে দলের অবস্থান যেখানে ভালো, সেখানে তাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয় সরকার নিয়ে এখনো জোটের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা যেহেতু জোটগত অনুশীলনের মধ্যে আছি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও সেটা থাকা ভালো। তিনি বলেন, স্থানীয় পরিস্থিতিই নির্ধারণ করে দেবে, কোন দলের কে মনোনয়ন পাবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা জোটগতভাবে জাতীয় নির্বাচন করেছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনও ঐক্যবদ্ধভাবে করার জন্য জোটের কাছে প্রস্তাব রাখব। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় চারজন নেতা বলেছেন, দলগুলোর সারা দেশে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠন মজবুত নয়। শরিক দলগুলোর কর্মীদের আধিক্য শহরকেন্দ্রিক। ফলে পুরো বাংলাদেশে তাঁদের গুরুত্ব না দেওয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগ। তবে যেসব সংসদীয় আসনে শরিক দলের সাংসদ রয়েছেন যেসব এলাকায় সমঝোতায় যেতে পারেন তাঁরা। ওই নেতারা বলেন, জাতীয় সংসদের সরাসরি ভোটে তিন শ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংসদ রয়েছেন ২৩৩ জন। রুস্তম আলী ফরাজী বাদে স্বতন্ত্র বাকি ১৫ জন সাংসদও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত। বাকি ৫২টি আসন নিয়ে তাঁদের চিন্তা। ওই আসনগুলোর মাঠপর্যায়ে অবস্থা দেখে শরিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার চিন্তা করা হবে। আওয়ামী লীগের একজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক সংসদীয় এলাকায় শরিকদের সাংসদ রয়েছেন সেখানে তাঁদের গুরুত্ব না দিয়ে নির্বাচন করাটা বোকামি হবে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যেসব আসনে শরিক দলের সাংসদেরা রয়েছেন সেখানে তাঁদের মত থাকবে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এই প্রতিবেদককে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল নিয়ে আমাদের জোট গঠন করা হয়েছিল জাতীয় নির্বাচনের জন্য। কিন্তু এটা স্থানীয় নির্বাচন। এটা কোন পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তবে আমি মনে করি, শরিক দলগুলোর কোথাও জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী থাকলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হতে পারে।’ ১৪ দলের শরিক তরীকত ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল বলেন, যে দলের অবস্থান যেখানে ভালো, সেখানে ওই দলকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। সংসদীয় আসনের ভিত্তিতে গুরুত্ব দিলে তা সমীচীন হবে না।-প্রথমআলো