হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের কঠের অবস্থানের কারনে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালাচ্ছে সব ধরনের অপরাধীরা। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপের মুখেও অপরাধ দমনে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। কুখ্যাত ডিস সন্ত্রাসী বাবুকে গ্রেফতার করার পর তিনি অপর মাদক সম্রাট চুন্নুকে গ্রেফতার করেছেন। একই সঙ্গে গ্রেফতার করেছেন আরো অন্তত অর্দশত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীকে। এরই মাঝে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে গেছে শীর্ষ সন্ত্রাসী মীরু ও ডন নাজিমুদ্দিন। তাই এই পুলিশ সুপারের প্রতি জনগনের আস্থা বাড়ছে। বিগত জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে সন্ত্রাস চাঁদাবাজী নির্মূলে একের পর এক হুংকার ছাড়লেও সচেতন মহলি এতোদিন তার এসব হুংকার মোটেও আমলে নেন নাই। অনেকেই মনে করেছেন এই নারায়ণগঞ্জে অতীতে আরো অনেক পুলিশ সুপার এসে এমনই হুংকার ছেড়েছেন।
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি। বরং অনেকে আবার এই জেলা থেকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিয়েছেন। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করাতো দূরের কথা, বরং লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ব্যাতিক্রম। বর্তমান পুলিশ সুপার থেমে থেমে এই শহরের অপরাধীদের গ্রেফতার করা অব্যাহত রেখেছেন। টেনু, মীরুদের গ্রেফতার করার পর গ্রেফতার করেছিলেন সাবেক কাউন্সিলর মুন্না আর বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসাইনকে। এখন আবার কুখ্যাত কাউন্সিলর ডিস বাবকে গ্রেফতার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। প্রভাবশালী ও বিশাল কালো টাকার মালিক ডেস বাবুকে গ্রেফতার করার পর জনগনের মাঝে পুলিশ সুপাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন ভাবনা চিন্তা।
অনেকেই জানতে চাইছেন আসলে কি করতে চান পুলিশ সুপার হারুন। তাই বিভিন্ন পাড়া মহল্লার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এখন চোক খান খাড়া করেছেন। তারা ভাবছেন পুলিশ সুপার হয়তো সত্যিই আন্তরিকভাবে চাইছেন একটা কিছু করতে। যদিও নারায়ণগঞ্জে যারা বিএনপির সমর্থক তাদের মনে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ভূমিকা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন আছে। তারা মনে করেন জনগন যে তাদের ভোটাধিকার বঞ্চিত হয়েছে তার জন্য প্রধানত দায়ী পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। এই জেলায় তিনি বিএনপিকে মাঠে দাড়াতে দেননি। তবে এই মুহুর্তে দমৈত নির্বিশেষে সকল মানুষই এই পুলিশ সুপারকে সমর্থন জানাচ্ছেন।
তারা মনে করেন সারা দেশে যেভাবে খুন ধর্ষন সহ নানা রকম অপরাধ বেড়ে চলেছে এবং জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তাতে পুলিশ সুপার হারুনের সন্ত্রাস দমনে এই শক্ত ভূমিকা এই জেলার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরাবে। এরই মাঝে বিভিন্ন এলাকার মানুষ পুলিশ সুপারের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়ে তার সাফল্য কামনা করছেন। কেউ কেউ এমন মন্তব্যও করছেন যে থাকুক পুলিশ সুপার হারুন এই জেলায় আরো পাঁচ বছর। তিনিই পারবেন এই জেলাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে। সমাঝের সর্বত্র যেভাবে সন্ত্রাসীরা ঝেকে বসেছে এবং সাধারন মানুষের উপর নানা কায়দায় নীপিরন নির্যাতন চালিয়ে যচ্ছে তাতে দিশেহারা হয়ে পরেছিলো মানুষ। যখন প্রত্যেকটি পাড়া মহল্লায় গজিয়ে উঠা সন্ত্রাসীদের দাপটে ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছিলো না মানুষ তখন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ তাদেরকে রুখে দাড়ানোর কারনে বদলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। পালাতে শুরু করেছে অপরাধীরা। তাই শেষ পর্যন্ত এই পুলিশ সুপার কতোদূর যাবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।