হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমলকী একপ্রকার ভেষজ ফল।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ দৈনিক তিন থেকে চারটি আমলকী খান তবে অনেক রোগ থেকেই মুক্ত থাকতে পারেন।
আমলকীর রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে চোখের অনেক ধরনের অসুখ থেকে ভালো থাকা যায়, যেমন : কনজাংটিভ, গ্লুকোমা ইত্যাদি। আমলকীর মধ্যে যে ক্রমিয়াম রয়েছে, তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই উপকারী। আমলকী হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া পেশি শক্তি বাড়াতেও আমলকীর জুড়ি নেই।
আমলকী মুখে বয়সের বলিরেখা পরতে দেয় না। এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও বেশ সহায়ক এই আমলকী। এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে।
আমলকীতে আছে সলিউবল ফাইবার যা শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে এবং হজমে সাহায্য করে।
আমলকীর সবচেয়ে বড় অবদান চুলের জন্য। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আমলকী খেলে টাক মাথায় নতুন করে চুল গজায়। এটি চুল পাকা, চুল পড়া রোধ করে এবং চুলে চকচকে ভাব নিয়ে আসে। নিয়মিত আমলকী খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। দাঁতের বিভিন্ন অসুখ দূর করতেও আমলকী কাজ করে।
১) মাথার চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
২)আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
৩)এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
৪)আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।
৫)প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৬)এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৭) আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
৮) কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।
৯) ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
১০) শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।
১১) শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
১২) লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
১৩) এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।
১৪) সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।
১৫) ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলও কম রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে।