হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৈশাখের শুরুতেই ঝড়-বৃষ্টির পর বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় অস্বস্তির গরম পড়ছে। বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। শুক্রবারের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বেড়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার অনেক এলাকায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা ছিল। তবে রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে।
রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বুধবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটিই বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, চৈত্রের শেষে কালবৈশাখীর দাপটের সঙ্গে বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টি ছিল। এখন তাপমাত্রা বাড়ছে। আরও কয়েক দিন তা অব্যাহত থাকবে। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি রয়েছে জনজীবনে।
১৮-২০ এপ্রিলের মধ্যে বয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ। চলতি মাসের শেষ দিকে ফের কালবৈশাখীর দাপট থাকবে; সাগরে নিম্নচাপেরও শঙ্কা রয়েছে।’
আফতাব উদ্দিনের পরামর্শ-এ মৌসুমে প্রতিদিন বিকালেই কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে। তাই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এপ্রিল-মে মাসের উষ্ণ আবহাওয়ায় কালবৈশাখী, বজ্রঝড়ের অনুকূল পরিবেশ থাকে। বিশেষ করে উত্তর-উত্তর পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কালবৈশাখীর দাপট বেশি। এমন সময়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিদ্যুৎ চমকানো ও ঘন ঘন বজ্রপাতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এপ্রিলের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে সাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ।