কয়েকমাস ধরে দৌড়ানো শুরু করেছেন লাবনী। কিন্তু তেমন কোনো ফলই পাচ্ছেন না। প্রতিদিন নতুন আশায় ছুটছেন, কিন্তু কোনো উন্নতি দেখছেন না। শুধু লাবনী হয়, এমন পরিস্থিতির শিকার ওজন কমানোর মিশনে নামা অনেকেই।
প্রতিদিন হয়তে ঘড়ি ধরে আপনি ঠিকই দৌড়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সাধারন কিছু অজ্ঞতার কারণে এর সুফল পাচ্ছেন না। আসুন জেনে নেই সঠিক উপায়ে দৌড়ানোর কৌশলগুলো-
দৌড়ানোর পর অতিরিক্ত খেয়ে ফেলা- খুব স্বাভাবিক ভাবেই দৌড়ানোর পর আপনার পেটে ইঁদুরের দৌড়ানোও বেড়ে যাবে। অতিরিক্ত ক্ষুধার জ্বালায় অনেকেই ওই সময়ে খেয়ে ফেলেন জাঙ্ক ফুড। যা কখনোই করা যাবে না। দৌড়ানোর পর অবশ্যই নাস্তা খেতে হবে। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন সেটি যেনো প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সম্পূর্ন হয়। তবে কোনোভাবেই ১৫০ ক্যালরির বেশি গ্রহণ করা যাবে না। এরপরও যদি দৌড়ানোর পর বেশি ক্ষুধা থাকে অথবা ক্ষুধার কারণে দৌড়ে অনীহা আসে, তাহলে আগেই হালকা কিছু খেয়ে নিন। কিন্তু ভরপেট নয়।
দৌড়াচ্ছেন, তবে পর্যাপ্ত নয়- আপনি প্রতিদিনই দৌড়াচ্ছেন, কিন্তু ফল পাচ্ছেন না। এমন হলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ক্যালেন্ডারটি আরেকবার দেখে নিন। পরিপূর্ণ ডায়েট এবং প্রতিদিন ৪৫ মিনিট অথবা ২০ মিনিট করে দিনে দুবার দৌড়ানোর পরও যদি ফল না পান, তাহলে তো মন খারাপ হওয়ারই বিষয়। কারণ এই রুটিন মেনে চললে আপনার সপ্তাহে এক পাউন্ড এবং দৈনিক ৫০০ ক্যালরি করে ক্ষয় হবে। যদি সত্যি ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকে, তাহলে দুবার নয় বরং দিনে চার থেকে পাঁচবার করে ২০ মিনিট করে দৌড়িয়ে নিন।
ওজন কমছে, তবে আশানুরূপ নয়- দৌড়ে ঘামে চুবচুবে হয়ে গেছেন, খুশি মনে ভাবছেন ৫০০ ক্যালরি পুড়েছে। কিন্তু আসলেই কি তাই? দেড়শ পাউন্ড ওজনের একজন নারী ৪৯৫ ক্যালরি পুড়াতে হলে ১০ মিনিটে এক মাইল অতিক্রম করতে হবে। যদি আপনি এই নিয়ম মেনে দৌড়াতে পারেন তাহলেই আশানুরূপ ফল পাওয়া সম্ভব। ওয়ার্কআউট ঠিকমতো কাজ করছে কিনা এই সম্পর্কে সঠিক পেতে ব্যবহার করতে পারেন হার্ট রেট মনিটর অথবা নামিয়ে নিন স্মার্টফোনের সস্তা কিছু অ্যাপ।