ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ৩ রোহিঙ্গা নিহত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৯
  • ২২৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজারের টেকনাফে গ্রেফতার তিনজন রোহিঙ্গা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহতরা খুন, ডাকাতিসহ নানা অভিযোগ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে। শনিবার ভোররাতে হ্নীলা ইউনিয়নের মুছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও গুলি।

নিহতরা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের মুছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের আমির হোসেনের ছেলে নুর আলম (২৩) এবং একই ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে মোহাম্মদ জুবায়ের (২০) ও ইমাম হোসেনের ছেলে হামিদ উল্লাহ (২০)। পুলিশের দাবি, এই শরণার্থীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই স্বপন, কনস্টেবল মোহাম্মদ মেহেদী ও মং মং।

ওসি প্রদীপ বলেন, শুক্রবার রাতে মুছনী ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকা থেকে নুর আলম, জুবায়ের ও হামিদকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিয়ে পুলিশের একটি দল ভোর রাতে মুছনী ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে নুর আলম, জুবায়ের ও হামিদ গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় পুলিশের তিন সদস্যও।

গুলিবিদ্ধ তিন রোহিঙ্গাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দেখে জানান, তিনজনই মারা গেছেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন মো. আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই পথে তিন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে গুলির জখম রয়েছে। ঘটনাস্থলে দেশে তৈরি চারটি বন্দুক ও সাতটি গুলি পাওয়া যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ৩ রোহিঙ্গা নিহত

আপডেট টাইম : ১২:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজারের টেকনাফে গ্রেফতার তিনজন রোহিঙ্গা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহতরা খুন, ডাকাতিসহ নানা অভিযোগ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে। শনিবার ভোররাতে হ্নীলা ইউনিয়নের মুছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও গুলি।

নিহতরা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের মুছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের আমির হোসেনের ছেলে নুর আলম (২৩) এবং একই ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে মোহাম্মদ জুবায়ের (২০) ও ইমাম হোসেনের ছেলে হামিদ উল্লাহ (২০)। পুলিশের দাবি, এই শরণার্থীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই স্বপন, কনস্টেবল মোহাম্মদ মেহেদী ও মং মং।

ওসি প্রদীপ বলেন, শুক্রবার রাতে মুছনী ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকা থেকে নুর আলম, জুবায়ের ও হামিদকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিয়ে পুলিশের একটি দল ভোর রাতে মুছনী ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে নুর আলম, জুবায়ের ও হামিদ গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় পুলিশের তিন সদস্যও।

গুলিবিদ্ধ তিন রোহিঙ্গাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দেখে জানান, তিনজনই মারা গেছেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন মো. আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই পথে তিন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে গুলির জখম রয়েছে। ঘটনাস্থলে দেশে তৈরি চারটি বন্দুক ও সাতটি গুলি পাওয়া যায়।