ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হবে অনলাইনে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৫৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে শৃঙ্খলা আনতে রাজধানীতে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অনলাইন বিক্রি কার্যক্রম। আগামী ১ জুলাই থেকে সারা দেশে অনলাইনের মাধ্যমে এটি বিক্রি করা হবে। আর সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ইটিআইএন।

এ জন্য ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ডাটা বেইস তৈরি করা হবে। কালো টাকা দিয়ে ও বেনামে সঞ্চয়পত্র কেনা এবং সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ ঠেকাতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই পদক্ষেপ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার দেশে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সঞ্চয়পত্র অনলাইনে বিক্রি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরে এই অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়েছে। চলতি এপ্রিলে বিভাগীয় শহরে এবং জুনের মধ্যে সারা দেশে অনলাইন পদ্ধতি চালু করা হবে। ১ জুলাই থেকে এই সিস্টেমের বাইরে সঞ্চয়পত্রে কোনো লেনদেন হবে না।

সঞ্চয়পত্র বিক্রির টাকা ব্যাংকে সরকারি অ্যাকাউন্টে ক্রেটিড করতে হবে। এর বিপরীতে প্রদত্ত মুনাফার টাকা একই হিসাবে ডেবিট করা হবে। এ ছাড়া গ্রাহকের মুনাফা ও আসল অর্থ অ্যাকাউন্টে ছাড়া দেওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাজেট ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সঞ্চয়পত্র কেনার নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং ই-টিআইএন সনদ জমা দিতে হবে। তবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। টাকার পরিমাণ এর বেশি হলে অবশ্যই ব্যাংক চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

এ জন্য সঞ্চয়কারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর ও মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। এ ছাড়া নতুন ফরম এবং ‘ম্যানডেট’ ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করে জমা দিতে হবে। যাঁদের আগে থেকে সঞ্চয়পত্র আছে তাঁরাও ম্যানডেট ফরম পূরণ করে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মুনাফা নিতে পারবেন।

জানা যায়, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উচ্চ সুদে বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয় প্রকল্প চালু আছে। এক ব্যক্তি কত টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন সে বিষয়ে নির্দিষ্ট সীমা আছে। কেউ সীমার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনলে সঞ্চয়পত্র বিধি অনুযায়ী অতিরিক্ত বিনিয়োগের ওপর তিনি কোনো সুদ পাবেন না।

তবে সঞ্চয়পত্রের নির্দিষ্ট ডাটা বেইস না থাকায় অনেকে ভিন্ন অফিস থেকে বিপুল অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কিনছেন। ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছে ব্যাপক হারে। এর সুদ পরিশোধ বাবদ বাজেট থেকে সরকারকে গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জুলাই থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হবে অনলাইনে

আপডেট টাইম : ০৪:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে শৃঙ্খলা আনতে রাজধানীতে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অনলাইন বিক্রি কার্যক্রম। আগামী ১ জুলাই থেকে সারা দেশে অনলাইনের মাধ্যমে এটি বিক্রি করা হবে। আর সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ইটিআইএন।

এ জন্য ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ডাটা বেইস তৈরি করা হবে। কালো টাকা দিয়ে ও বেনামে সঞ্চয়পত্র কেনা এবং সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ ঠেকাতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই পদক্ষেপ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বৃহস্পতিবার দেশে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সঞ্চয়পত্র অনলাইনে বিক্রি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরে এই অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়েছে। চলতি এপ্রিলে বিভাগীয় শহরে এবং জুনের মধ্যে সারা দেশে অনলাইন পদ্ধতি চালু করা হবে। ১ জুলাই থেকে এই সিস্টেমের বাইরে সঞ্চয়পত্রে কোনো লেনদেন হবে না।

সঞ্চয়পত্র বিক্রির টাকা ব্যাংকে সরকারি অ্যাকাউন্টে ক্রেটিড করতে হবে। এর বিপরীতে প্রদত্ত মুনাফার টাকা একই হিসাবে ডেবিট করা হবে। এ ছাড়া গ্রাহকের মুনাফা ও আসল অর্থ অ্যাকাউন্টে ছাড়া দেওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাজেট ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সঞ্চয়পত্র কেনার নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং ই-টিআইএন সনদ জমা দিতে হবে। তবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। টাকার পরিমাণ এর বেশি হলে অবশ্যই ব্যাংক চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

এ জন্য সঞ্চয়কারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর ও মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। এ ছাড়া নতুন ফরম এবং ‘ম্যানডেট’ ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করে জমা দিতে হবে। যাঁদের আগে থেকে সঞ্চয়পত্র আছে তাঁরাও ম্যানডেট ফরম পূরণ করে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মুনাফা নিতে পারবেন।

জানা যায়, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উচ্চ সুদে বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয় প্রকল্প চালু আছে। এক ব্যক্তি কত টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন সে বিষয়ে নির্দিষ্ট সীমা আছে। কেউ সীমার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনলে সঞ্চয়পত্র বিধি অনুযায়ী অতিরিক্ত বিনিয়োগের ওপর তিনি কোনো সুদ পাবেন না।

তবে সঞ্চয়পত্রের নির্দিষ্ট ডাটা বেইস না থাকায় অনেকে ভিন্ন অফিস থেকে বিপুল অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কিনছেন। ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছে ব্যাপক হারে। এর সুদ পরিশোধ বাবদ বাজেট থেকে সরকারকে গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ।