ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিঠামইনে কৃষি ব্যাংকের শাখা থেকে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা গায়েব, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯
  • ৩৪৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিঠামইন উপজেলা কৃষি ব্যাংকের শাখা থেকে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই শাখার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শিপন মিয়া (২৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ওই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা ভুয়া পিন নম্বরের মাধ্যমে নিজের নামে তুলে আত্মসাৎ করে আসছিল।

শিপন ২০১৭ সাল থেকে এ ধরণের জালিয়াতি করে এলেও বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে। পরে বুধবার (৩ এপ্রিল) কৃষি ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার মুখ্য ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে মিঠামইন থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শিপন মিয়া উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের কাকুয়া গ্রামের মজলিশ মিয়ার ছেলে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে মিঠামইন থেকে শিপন মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুন নূর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারের পর শিপন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, পুলিশ ও অন্য কর্মকর্তাদের জেরার মুখে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন বলে জানা গেছে।

কৃষি ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান জানান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শিপন প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশ থেকে ৪৮ জন গ্রাহকের নামে পাঠানো ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ১০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

কৃষি ব্যাংক মিঠামইন শাখার ব্যবস্থাপক মোতাহের হোসেন জানান, শিপন মিয়া প্রবাসীদের পাঠানো পেমেন্ট বা প্রদান স্লিপ নকল করে ভুয়া পিন নম্বর বসিয়ে নিজস্ব লোকদেরকে গ্রাহক সাজিয়ে এ টাকা আত্মসাত করেছেন। শিপন মিয়া পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

মিঠামইন থানার ওসি মো. জাকির রব্বানী জানান, মামলা হওয়ার পর অভিযুক্ত শিপনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। গত বুধবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করানো হয়। পরে সুস্থ হয়ে উঠলে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করবে বলেও ওসি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মিঠামইনে কৃষি ব্যাংকের শাখা থেকে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা গায়েব, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিঠামইন উপজেলা কৃষি ব্যাংকের শাখা থেকে প্রায় ৫৪ লাখ টাকা উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই শাখার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শিপন মিয়া (২৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ওই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা ভুয়া পিন নম্বরের মাধ্যমে নিজের নামে তুলে আত্মসাৎ করে আসছিল।

শিপন ২০১৭ সাল থেকে এ ধরণের জালিয়াতি করে এলেও বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে। পরে বুধবার (৩ এপ্রিল) কৃষি ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার মুখ্য ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে মিঠামইন থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শিপন মিয়া উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের কাকুয়া গ্রামের মজলিশ মিয়ার ছেলে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে মিঠামইন থেকে শিপন মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুন নূর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারের পর শিপন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, পুলিশ ও অন্য কর্মকর্তাদের জেরার মুখে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন বলে জানা গেছে।

কৃষি ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান জানান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শিপন প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশ থেকে ৪৮ জন গ্রাহকের নামে পাঠানো ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ১০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

কৃষি ব্যাংক মিঠামইন শাখার ব্যবস্থাপক মোতাহের হোসেন জানান, শিপন মিয়া প্রবাসীদের পাঠানো পেমেন্ট বা প্রদান স্লিপ নকল করে ভুয়া পিন নম্বর বসিয়ে নিজস্ব লোকদেরকে গ্রাহক সাজিয়ে এ টাকা আত্মসাত করেছেন। শিপন মিয়া পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

মিঠামইন থানার ওসি মো. জাকির রব্বানী জানান, মামলা হওয়ার পর অভিযুক্ত শিপনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। গত বুধবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করানো হয়। পরে সুস্থ হয়ে উঠলে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করবে বলেও ওসি জানান।