হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় মন্ত্রিসভায় শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে শোক প্রস্তাব গৃহিত হয়।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২৮ মার্চ বনানীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ নিহত ও অর্ধশত আহত হওয়ার ঘটনায় মন্ত্রিসভা গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছে। হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা যাতে না হয় এজন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো—
# বহুতল ভবন তৈরির সময় ফায়ার সার্ভিসের ক্লিয়ারেন্সের পাশাপাশি সেটা ‘ভায়াবল’ কি না নিশ্চিত করা।
# অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা। ফায়ার সার্ভিসের যে অনুমোদন দেওয়া হয় কারখানার মত তা প্রতি বছর নবায়নের ব্যবস্থা করা।
# বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা।
# এক থেকে তিন মাসের মধ্যে অগ্নি নির্বাপন মহড়া করা।
# অগ্নিকাণ্ডের সময় ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু এড়াতে ভবনে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অবলম্বন
# পানির অভাবে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিস কাজ করতে পারে না; তাই যেখানে যেখানে সম্ভব জলাশয় বা জলাধার তৈরি করা।
# লেকগুলো সংরক্ষণ করা।
# বহুতল ভবনে ওঠার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ল্যাডারের সংখ্যা বাড়ানো।
# প্রকৌশলীরা যেন পরিবেশ ও বাস্তবতার নিরেখে অবকাঠামোর নকশা করেন, তা নিশ্চিত করা।
# প্রতিটি ভবনে ফায়ার এক্সিট নিশ্চিত করা।
# অনেক জায়গায় ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে দরজা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফায়ার এক্সিট যেন সব সময় ওপেন থাকে, অর্থাৎ ম্যানুয়ালি যেন তা খোলা যায়।
# জরুরি প্রয়োজনে মানুষ যেন বহুতল ভবন থেকে তারপুলিনের মাধ্যমে ঝুলে নামতে পারে, সেই পদ্ধতি চালু করা।
# প্রতিটি হাসপাতাল ও স্কুলে বারান্দাসহ খোলা জায়গা রাখা।
# ভবনে আগুন লাগগে লিফট ব্যবহার না করা।
# প্রতিটি ভবনে কমপক্ষে দুটি এক্সিটওয়ে রাখা।