হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির বনভোজন ১লা ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার, তাজমহল ও রাজমনি পিরামিড সোনারগাও, নারায়ণগঞ্জ। বনভোজনে দুই হাজার সদস্য অংশ গ্রহন করেন। সকল সদস্যদের সম্মতিতে জেলার সমিতির বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লটারী শুরু হয়।
উক্ত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪-(মিঠামইন-ইটনা-অষ্টগ্রাম) আসনে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এমপি, এমপির সহর্ধমিনী এ্যাডভোকেট শামসুর নাহার নিলি, হাওর বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির মহাসচিব হাজী আক্কাছ আলী বেপারী, কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ ইউসুফ (মিঠামইন-ইটনা-অষ্টগ্রাম) সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ সোলেইমান ও সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাংবাদিক রাজেন্দ্র মন্টু মোঃ আজিজুল হক বিল্লাল হোসেন, তৈজগাঁও মহিলা কলেজের পিন্সিপাল মোঃ নজরুল ইসলাম, মিঠামইন সদর ইউপির চেয়ারম্যান শরীফ কামাল, বৈরাটী ইউপির চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দীন, কাটখাল ইউপির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ঘাগড়া ইউপির চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন, কেওয়ারজোর ইউপির চেয়ারম্যান হাবলু মিয়া, ঢাকী ইউপির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, এ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন সহ অনন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিল।
প্রত্যক বসৎরে নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের উদ্দ্যেগে বিভিন্ন জায়গায় বনভোজনের আয়োজন করে থাকেন। ২০১৯ সালে বনভোজনের আয়োজনে তাজমহল ও রাজমনি পিরামিড সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ। এতে সকাল বিকালের খাবারের সুব্যবস্হা, লটারি নৃত্য অনুষ্ঠানে আয়োজন ছিল।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ১০ মাইল পূর্বে পেরাব, সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত। এটি প্রকৃত তাজমহলের (ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি মুঘল নিদর্শন) একটি হুবহু নকল বা রেপ্লিকা। এটি ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং তথ্যানুসারে এটি তৈরী করতে মাত্র ৫ বছর এবং USD ৫৮ মিলিয়ন খরচ হয়েছে। তাজমহল বাংলাদেশের মালিক আহসানুল্লাহ মনি একজন ধনবান চলচিত্র নির্মাতা। তিনি জানান এই তাজমহলের রেপ্লিকাটি তৈরী করা হয়েছে যেন তার দেশের দরিদ্র মানুষ যাদের ভারত গিয়ে প্রকৃত নিদর্শন দেখার সামর্থ নেই তারা যেন তাজমহল দেখার স্বপ্ন পূরন করতে পারেন নিজের দেশে থেকেই।
তাজমহলের এই রেপ্লিকা সৃষ্টির ঘটনায় ভারত ক্ষুব্ধ হয় বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস থেকে জানানো হয় আহসানুল্লাহ মনিকে প্রকৃত তাজমহলের (৩০০ বছরের ও বেশি পুরোনো) মেধাস্বত্ব লংঘন করার দায়ে অভিযুক্ত করা হবে। মনি দাবি করেছেন তিনি মার্বেল পাথর আমদানি করেছেন ইতালী থেকে, হীরা আমদানি করেছেন বেলজিয়াম থেকে এবং প্রায় ১৬০ কিলোগ্রাম ব্রোঞ্জ আমদানি করেছেন গম্বুজের জন্য, যদিও কিছু মানুষ দাবী করেন রেপ্লিকাটি সম্পূর্ন নয় এবং দাবিকৃত উপকরন দিয়ে তৈরী করা হয়নি।
রাজমনি পিরামিড, পেরাবো, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ। ভারতের তাজমহলের পর এবার বাংলাদেশে তৈরি হলো মিশরের পিরামিড। বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আহসান উল্লাহ মনি মিশরের পিরামিড দেখে ভালো লাগার ফলে তার আদলে বাংলাদেশে এই পিরামিড তৈরি করে। যা গত ১৩/০১/২০১৬ তে উদ্ভোদন করা হয় এবং ১৫/০১/২০১৬ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য ১৫০ টাকা টিকেটের বিনিময়ে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
পিরামিড এর পাশাপাশি জায়গাটিকে সুটিং এর জন্য উপযুক্ত করে বানানো হয়েছে। ভিতরে আছে একটি সিনেমা হল যেখানে বিভিন্ন বাংলা ছায়াছবি প্রদর্শনী করানো হয় বিকেল ৩ টা থেকে। এর পাশেই আছে সুটিং স্টুডিও, যার ভিতরে শুটিং এর জন্য বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো গুছানো আছে বিশেষ করে পূর্বের দিনের রাজা বাদশা আমলের আদলে।
দেখতে বেশ ভালোই। এর বিপরীত পাশেই আছে সেই আকর্ষণীয় নকল পিরামিড টি। ভিতরে প্রবেশের জন্য রয়েছে সিঁড়ি, যা মোটামুটি এক তলার মত নিচে নেমে গিয়েছে। আর সেখানেই দেখতে পাবেন মিশর পিরামিডে রক্ষিত মমির ডামি মমি ৭ টি। এছাড়াও দেখতে পাবেন রাজা,রানীদের বিভিন্ন পোশাক, অলংকার ও তাদের যুদ্ধে ব্যবহৃত অন্ত্র। একদিক দিয়ে প্রবেশ করে পুরো পিরামিড টি মৃদু বাহারী আলোয় ঘুরে ঘুরে অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন। এছাড়াও এর খুব কাছেই রয়েছে বাংলার তাজমহল, চাইলে সেখানেও ঘুরে বেড়াতে পারেন।অথবা দু মিনিট পায়ে হাটলে বেড়াতে পারবেন ফানল্যান্ড শিশু পার্ক।
ঢাকার কাছাকাছি দিনে দিনে ঘুরে আসার জন্য পারফেক্ট এই পেরাব গ্রাম। যেখানে আপনি পিরামিড,বাংলার তাজমহল,ফানল্যান্ড পার্ক সহ গ্রাম ঘুরে বেড়াতে পারবেন অনায়াসে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও এখানে যাওয়া যায়।