ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জ থেকে এই প্রথম কেউ মন্ত্রিত্ব পেলেন না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯
  • ৩৪৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘মন্ত্রীর জেলা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া কিশোরগঞ্জ থেকে এই প্রথম কেউ মন্ত্রিত্ব পেলেন না। আর এই বিষয়টি নিয়ে বাসিন্দারা যারপরনাই হতাশ। ১৯৭১ সালে প্রবাসী সরকার থেকে শুরু করে দশম সংসদ নির্বাচনর পর যতগুলো সরকার গঠিত হয়েছে, কিশোরগঞ্জ ততবার পেয়েছে মন্ত্রিত্ব। আর আওয়ামী লীগ সরকারে এলে বরাবরই একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন এই এলাকার সংসদ সদস্যরা।

গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন মন্ত্রিসভায় ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও তিন জন উপমন্ত্রী শপথ নিতে যাচ্ছেন।

এই জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং একটিতে জাতীয় পার্টির। এই দলটি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না, এটা আগেই জানা গিয়েছিল। বাকিদরে মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর বাকি থাকেন আর চার জন।

এদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের নাজমুল হাসান পাপন আগের জানিয়েছেন, তিনি মন্ত্রী হতে আগ্রহী নন। বাকি তিন জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক আইজিপি নুর মোহাম্মদকে নিয়ে। যদিও কিশোরগঞ্জ-৪ রাষ্ট্রপতিপুত্র রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক এবং কিশোরগঞ্জ-৫ আফজাল হোসেনও ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল সাংবাদিককে বলেন, ‘আপাতত কিশোরগঞ্জে কোন মন্ত্রী নেই। আগে যারা ছিলেন তারাও বাদ পড়েছেন। তবে আমরা আশাবাদী হয়তো কোন চমক আসতে পারে।’

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আজিজুল হক বলেন, ‘সরকারই হলো কিশোরগঞ্জ আর গোপালগঞ্জের। কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আর গোপালগঞ্জের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তবে মন্ত্রিসভায় কিশোরগঞ্জের কোন মন্ত্রী ঘোষণা না করায় হয়তো চমক আছে। আমরা অপেক্ষায় আছি কী সেই চমক।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এই প্রথম মন্ত্রীশূন্য হলো কিশোরগঞ্জ। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী চাই।’

তবে এখনো আশা ছাড়ছে না কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষ। তারা আশা করছেন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ অথবা অন্য কাউকে পূর্ণ মন্ত্রী করা হবে।

যুদ্ধাপারাধ মামলার স্বাক্ষী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক রেজাউল হাবীব রেজা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এই প্রথম মন্ত্রীশূন্য কিশোরগঞ্জ। এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না।’

পাকুন্দিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, ‘আমাদের কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ সাহেবকে মন্ত্রী হিসেবে দেখব বলে আশাবাদী ছিলাম। তবে এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে। আমরা পেতেও পারি একজন মন্ত্রী।’

অতীতে কিশোরগঞ্জ থেকে মন্ত্রী ছিলেন যারা

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জেরই বাসিন্দা। উপদেষ্টা মনোরঞ্জন ধরও এই জেলার।

১৯৭৩ সালের মন্ত্রিসভায় মনোরঞ্জন ধর ছিলেন আইনমন্ত্রী আর আসাদুজ্জামান খান ছিলেন পাটমন্ত্রী। সৈয়দ নজরুল ইসলাম হন রাষ্ট্রপতি। পরে সংসদীয় শাসনব্যবস্থার বদলে রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থায় ফেরার পর তিনি হন শিল্পমন্ত্রী।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর কিশোরগঞ্জ  থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান সে সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান। সৈয়দ নজরুলের পুত্র সদ্য প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হন ডেপুটি স্পিকার।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকারে আসার পর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হন সৈয়দ আশরাফ। পান স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব। ডেপুটি স্পিকার থেকে পদোন্নতি পেয়ে আবদুল হামিদ হন স্পিকার। আর জিল্লুর রহমান হন রাষ্ট্রপতি।

এই সরকারের আমলে ২০১৩ সালে জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর আবদুল হামিদ হন রাষ্ট্রপতি। আর ২০১৪ সালের ভোট শেষে সৈয়দ আশরাফ আবার হন এলজিআরডিমন্ত্রী, পরে হন জনপ্রশাসনমন্ত্রী। আরো একটি প্রতিমন্ত্রী পায় জেলাটি। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মজিবুল হক চুন্নু হন প্রতিমন্ত্রী।

বিএনপি ও জাপার শাসনামল

আওয়ামী লীগের তুলনায় কম হলেও বিএনপির তিন দফা এবং জাতীয় পার্টিও দুই দফা শাসনামলেও মন্ত্রিত্ব পেয়েছে কিশোরগঞ্জ। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলুল করিম হন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী ছিলেন এম সায়েদুজ্জামান। তবে তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন না। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত মজিবুল হক চুন্নু পান ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।

১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বিএনপি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয় সে সময় কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদুল হককে। ২০০১ সালে সরকার গঠনের পর কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের ওসমান ফারুককে বানানো হয় শিক্ষামন্ত্রী।

সূত্রঃ ঢাকাটাইমস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জ থেকে এই প্রথম কেউ মন্ত্রিত্ব পেলেন না

আপডেট টাইম : ১২:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘মন্ত্রীর জেলা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া কিশোরগঞ্জ থেকে এই প্রথম কেউ মন্ত্রিত্ব পেলেন না। আর এই বিষয়টি নিয়ে বাসিন্দারা যারপরনাই হতাশ। ১৯৭১ সালে প্রবাসী সরকার থেকে শুরু করে দশম সংসদ নির্বাচনর পর যতগুলো সরকার গঠিত হয়েছে, কিশোরগঞ্জ ততবার পেয়েছে মন্ত্রিত্ব। আর আওয়ামী লীগ সরকারে এলে বরাবরই একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন এই এলাকার সংসদ সদস্যরা।

গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন মন্ত্রিসভায় ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও তিন জন উপমন্ত্রী শপথ নিতে যাচ্ছেন।

এই জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং একটিতে জাতীয় পার্টির। এই দলটি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না, এটা আগেই জানা গিয়েছিল। বাকিদরে মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর বাকি থাকেন আর চার জন।

এদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের নাজমুল হাসান পাপন আগের জানিয়েছেন, তিনি মন্ত্রী হতে আগ্রহী নন। বাকি তিন জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক আইজিপি নুর মোহাম্মদকে নিয়ে। যদিও কিশোরগঞ্জ-৪ রাষ্ট্রপতিপুত্র রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক এবং কিশোরগঞ্জ-৫ আফজাল হোসেনও ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল সাংবাদিককে বলেন, ‘আপাতত কিশোরগঞ্জে কোন মন্ত্রী নেই। আগে যারা ছিলেন তারাও বাদ পড়েছেন। তবে আমরা আশাবাদী হয়তো কোন চমক আসতে পারে।’

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আজিজুল হক বলেন, ‘সরকারই হলো কিশোরগঞ্জ আর গোপালগঞ্জের। কিশোরগঞ্জের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আর গোপালগঞ্জের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তবে মন্ত্রিসভায় কিশোরগঞ্জের কোন মন্ত্রী ঘোষণা না করায় হয়তো চমক আছে। আমরা অপেক্ষায় আছি কী সেই চমক।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এই প্রথম মন্ত্রীশূন্য হলো কিশোরগঞ্জ। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী চাই।’

তবে এখনো আশা ছাড়ছে না কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষ। তারা আশা করছেন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ অথবা অন্য কাউকে পূর্ণ মন্ত্রী করা হবে।

যুদ্ধাপারাধ মামলার স্বাক্ষী সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক রেজাউল হাবীব রেজা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এই প্রথম মন্ত্রীশূন্য কিশোরগঞ্জ। এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না।’

পাকুন্দিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, ‘আমাদের কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ সাহেবকে মন্ত্রী হিসেবে দেখব বলে আশাবাদী ছিলাম। তবে এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে। আমরা পেতেও পারি একজন মন্ত্রী।’

অতীতে কিশোরগঞ্জ থেকে মন্ত্রী ছিলেন যারা

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জেরই বাসিন্দা। উপদেষ্টা মনোরঞ্জন ধরও এই জেলার।

১৯৭৩ সালের মন্ত্রিসভায় মনোরঞ্জন ধর ছিলেন আইনমন্ত্রী আর আসাদুজ্জামান খান ছিলেন পাটমন্ত্রী। সৈয়দ নজরুল ইসলাম হন রাষ্ট্রপতি। পরে সংসদীয় শাসনব্যবস্থার বদলে রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থায় ফেরার পর তিনি হন শিল্পমন্ত্রী।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর কিশোরগঞ্জ  থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান সে সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান। সৈয়দ নজরুলের পুত্র সদ্য প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হন ডেপুটি স্পিকার।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকারে আসার পর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হন সৈয়দ আশরাফ। পান স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব। ডেপুটি স্পিকার থেকে পদোন্নতি পেয়ে আবদুল হামিদ হন স্পিকার। আর জিল্লুর রহমান হন রাষ্ট্রপতি।

এই সরকারের আমলে ২০১৩ সালে জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর আবদুল হামিদ হন রাষ্ট্রপতি। আর ২০১৪ সালের ভোট শেষে সৈয়দ আশরাফ আবার হন এলজিআরডিমন্ত্রী, পরে হন জনপ্রশাসনমন্ত্রী। আরো একটি প্রতিমন্ত্রী পায় জেলাটি। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মজিবুল হক চুন্নু হন প্রতিমন্ত্রী।

বিএনপি ও জাপার শাসনামল

আওয়ামী লীগের তুলনায় কম হলেও বিএনপির তিন দফা এবং জাতীয় পার্টিও দুই দফা শাসনামলেও মন্ত্রিত্ব পেয়েছে কিশোরগঞ্জ। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলুল করিম হন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী ছিলেন এম সায়েদুজ্জামান। তবে তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন না। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত মজিবুল হক চুন্নু পান ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।

১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বিএনপি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয় সে সময় কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদুল হককে। ২০০১ সালে সরকার গঠনের পর কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের ওসমান ফারুককে বানানো হয় শিক্ষামন্ত্রী।

সূত্রঃ ঢাকাটাইমস