ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে জেলার মন্ত্রীত্ব নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ শুরু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৯
  • ৩১০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মহাবিজয়ের পর কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে কতজন মন্ত্রীত্ব পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই জেলার নির্বাচিত ছয়জন সংসদ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগের এবং একজন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রীসভায় কারা ঠাঁই পাচ্ছেন, তার হিসাবনিকাশ শুরু হয়েছে নির্বাচনের ফলাফল পাওয়ার পর থেকেই।

কিশোরগঞ্জের ছয়জন সংসদ সদস্যের মধ্যে দুইজনের মন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁরা হলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

এই দুইজনের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসন থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে নতুন মন্ত্রীসভায়ও তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন বলে কিশোরগঞ্জবাসী প্রত্যাশা করছেন।

অন্যদিকে মো. মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন থেকে টানা তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও এরশাদ সরকারের সময়ে তিনি দুই বার সংসদে এই আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সে সময়ে তিনি উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনও করেছেন। এছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মহাজোট সরকারের মন্ত্রীসভায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ মেয়াদে মুজিবুল হক চুন্নু শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় পার্টিকে এবারও মন্ত্রিসভায় রাখা হলে তিনি আবারও মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পাবেন, এমন প্রত্যাশা তাঁর সংসদীয় আসনের লোকজনসহ জেলাবাসীর।

কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর-ভৈরব) আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে বিসিবি সভাপতি মো. নাজমুল হাসান পাপন। সর্বশেষ মেয়াদেও মন্ত্রীসভায় তাঁর ঠাঁই পাওয়ার বিষয়টি জোর আলোচনায় ছিল। স্বভাবতই নতুন মন্ত্রীসভায় মো. নাজমুল হাসান পাপন ঠাঁই পাবেন, এমন সরব আলোচনা রয়েছে তাঁর নির্বাচনী এলাকায়।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসন থেকে এবার প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক আইজিপি, সচিব ও রাষ্ট্রদূত নূর মোহাম্মদ। তিনি নিশ্চিতভাবে মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন, এমন আলোচনা রয়েছে জেলাজুড়েই।

কিশোরগঞ্জ-৪ (মিঠামইন-ইটনা-অষ্টগ্রাম) আসন থেকে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। মন্ত্রীসভায় তাঁকে দেখতে উন্মুখ হয়ে রয়েছেন হাওরে তাঁর নির্বাচনী এলাকাসহ জেলার সাধারণ মানুষ। এছাড়া হাওর জনপদের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। এসব বিবেচনায় আগামী মন্ত্রিসভায় তিনি স্থান পেতে পারেন, এমন প্রচার পাচ্ছে সর্বত্র।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আফজাল হোসেন এবার প্রথমবারের মতো মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন বলে এলাকায় আলোচনা চলছে। টানা তৃতীয়বারের মতো তিনি বিএনপির দুর্গখ্যাত এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জে জেলার মন্ত্রীত্ব নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ শুরু

আপডেট টাইম : ০৩:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মহাবিজয়ের পর কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে কতজন মন্ত্রীত্ব পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই জেলার নির্বাচিত ছয়জন সংসদ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগের এবং একজন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির। তাঁদের মধ্যে মন্ত্রীসভায় কারা ঠাঁই পাচ্ছেন, তার হিসাবনিকাশ শুরু হয়েছে নির্বাচনের ফলাফল পাওয়ার পর থেকেই।

কিশোরগঞ্জের ছয়জন সংসদ সদস্যের মধ্যে দুইজনের মন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁরা হলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

এই দুইজনের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসন থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে নতুন মন্ত্রীসভায়ও তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন বলে কিশোরগঞ্জবাসী প্রত্যাশা করছেন।

অন্যদিকে মো. মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন থেকে টানা তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও এরশাদ সরকারের সময়ে তিনি দুই বার সংসদে এই আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সে সময়ে তিনি উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনও করেছেন। এছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মহাজোট সরকারের মন্ত্রীসভায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ মেয়াদে মুজিবুল হক চুন্নু শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় পার্টিকে এবারও মন্ত্রিসভায় রাখা হলে তিনি আবারও মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পাবেন, এমন প্রত্যাশা তাঁর সংসদীয় আসনের লোকজনসহ জেলাবাসীর।

কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর-ভৈরব) আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে বিসিবি সভাপতি মো. নাজমুল হাসান পাপন। সর্বশেষ মেয়াদেও মন্ত্রীসভায় তাঁর ঠাঁই পাওয়ার বিষয়টি জোর আলোচনায় ছিল। স্বভাবতই নতুন মন্ত্রীসভায় মো. নাজমুল হাসান পাপন ঠাঁই পাবেন, এমন সরব আলোচনা রয়েছে তাঁর নির্বাচনী এলাকায়।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসন থেকে এবার প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক আইজিপি, সচিব ও রাষ্ট্রদূত নূর মোহাম্মদ। তিনি নিশ্চিতভাবে মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন, এমন আলোচনা রয়েছে জেলাজুড়েই।

কিশোরগঞ্জ-৪ (মিঠামইন-ইটনা-অষ্টগ্রাম) আসন থেকে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। মন্ত্রীসভায় তাঁকে দেখতে উন্মুখ হয়ে রয়েছেন হাওরে তাঁর নির্বাচনী এলাকাসহ জেলার সাধারণ মানুষ। এছাড়া হাওর জনপদের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। এসব বিবেচনায় আগামী মন্ত্রিসভায় তিনি স্থান পেতে পারেন, এমন প্রচার পাচ্ছে সর্বত্র।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আফজাল হোসেন এবার প্রথমবারের মতো মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন বলে এলাকায় আলোচনা চলছে। টানা তৃতীয়বারের মতো তিনি বিএনপির দুর্গখ্যাত এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।