রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আন্তর্জাতিক বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৫ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষে খাদ্যউৎপাদন, গবেষণা, সম্প্রসারণ, বিপণনকাজে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে কৃষি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। জনসংখ্যাবৃদ্ধি, ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধাবৃদ্ধিসহ নগরায়নের ফলে প্রতিনিয়ত কৃষিজমির পরিমাণ কমে আসছে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে আমাদের কৃষিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তদুপরি সরকারের সময়োপযোগী নীতি ও পরিকল্পনার পাশাপাশি দেশের কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী, উন্নয়নকর্মী ও সম্প্রসারণকর্মীগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ নিম্নআয়ের দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রেখে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তাবিধানে জোরালো প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
সরকার সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনসাধারণের জন্য আর্থিক ও বিভিন্ন সেবাকার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিশুদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তাসহ দারিদ্র্যবিমোচন ও অন্যান্য সামাজিক উন্নয়নে এ ধরণের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। খাদ্যউৎপাদনকে অধিক উৎসাহিত করে এমন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আরো বিস্তৃত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
এ বছরের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘গ্রামীণ দারিদ্র্যবিমোচন এবং সামাজিক সুরক্ষায় কৃষি’ অত্যন্ত যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে টেকসই কৃষিউন্নয়নের মাধ্যমে পারিবারিক খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সবাই আরো আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন-এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৫’ উদ্যাপনের সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”