ঢাকা ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটাররা যাতে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন, তা দেখতে হবে : সিইসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৩৫২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘আপনারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করবেন। ভোটাররা যাতে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন, তা দেখতে হবে। বিনা কারণে মামলা, হয়রানি করবেন না। আরপিও অনুযায়ী এখন সিংহভাগ দায়িত্ব আপনাদের হাতে। রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের আপানাদের সমর্থন দেয়া প্রয়োজন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিইসি এ কথা বলেন।

সিইসি’র সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, গ্রাম পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সিইসি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালের সহিংসতার কথা মাথায় রেখে ছক কষতে হবে। কেননা, প্রতীক বরাদ্দের পরদিনই দু’জন মানুষ নিহত হলো। এটা কি শুধুই রাজনৈতিক কারণ, নাকি ২০১৪ সালের পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা তা, সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের অবস্থা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ওই নির্বাচনে ভয়ঙ্কর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতি ও রূপরেখা তৈরি করে সে অনুযায়ী কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন। যাতে এবার ওই রকম ভয়ঙ্কর অবস্থা বা তাণ্ডব না ঘটে।’

তিনি বলেন, এখন ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আলোকে রূপরেখা প্রয়োজন। কারণ, তখন সশস্ত্র বাহিনীসহ সব বাহিনী ছিল। তবুও দেখেছি পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও ভোটার নিহত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনেও সব বাহিনী থাকবে। সে সময়ের পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, সে পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

সিইসি বলেন, এসব ঘটনায় একে অপরকে দোষ চাপানোর সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে প্রশাসন, দল এবং জনগণের সচেতন থাকা প্রয়োজন। নির্বাচনে পুলিশসহ সব বাহিনী রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে উঠিয়ে আনা সবার দায়িত্ব। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সব বাহিনীকে কাজ করতে হবে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে।

কে এম নুরুল হুদা বলেন, কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের ৯৫ শতাংশের বেশি কাজ শেষ করেছে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটার সংখ্যা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল করা হয়েছে, তাদের প্রশিক্ষণও চলছে।

সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটাররা যাতে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন, তা দেখতে হবে : সিইসি

আপডেট টাইম : ০৪:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘আপনারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করবেন। ভোটাররা যাতে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন, তা দেখতে হবে। বিনা কারণে মামলা, হয়রানি করবেন না। আরপিও অনুযায়ী এখন সিংহভাগ দায়িত্ব আপনাদের হাতে। রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের আপানাদের সমর্থন দেয়া প্রয়োজন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিইসি এ কথা বলেন।

সিইসি’র সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, গ্রাম পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সিইসি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালের সহিংসতার কথা মাথায় রেখে ছক কষতে হবে। কেননা, প্রতীক বরাদ্দের পরদিনই দু’জন মানুষ নিহত হলো। এটা কি শুধুই রাজনৈতিক কারণ, নাকি ২০১৪ সালের পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা তা, সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের অবস্থা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ওই নির্বাচনে ভয়ঙ্কর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতি ও রূপরেখা তৈরি করে সে অনুযায়ী কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন। যাতে এবার ওই রকম ভয়ঙ্কর অবস্থা বা তাণ্ডব না ঘটে।’

তিনি বলেন, এখন ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আলোকে রূপরেখা প্রয়োজন। কারণ, তখন সশস্ত্র বাহিনীসহ সব বাহিনী ছিল। তবুও দেখেছি পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও ভোটার নিহত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনেও সব বাহিনী থাকবে। সে সময়ের পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, সে পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

সিইসি বলেন, এসব ঘটনায় একে অপরকে দোষ চাপানোর সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে প্রশাসন, দল এবং জনগণের সচেতন থাকা প্রয়োজন। নির্বাচনে পুলিশসহ সব বাহিনী রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে উঠিয়ে আনা সবার দায়িত্ব। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সব বাহিনীকে কাজ করতে হবে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে হবে।

কে এম নুরুল হুদা বলেন, কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের ৯৫ শতাংশের বেশি কাজ শেষ করেছে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটার সংখ্যা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল করা হয়েছে, তাদের প্রশিক্ষণও চলছে।

সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।