ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রার্থিতা বিষয়ে খালেদা জিয়ার রিট শুনানি করতে বেঞ্চ গঠন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৩২৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা পৃথক রিট শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ঠিক করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আজ বুধবার এ বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

সকালে নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেয়া বিভক্ত আদেশের কপি ফেরত পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান বলেন, বিস্তারিত আদেশ লিখতে নির্দেশ দিয়ে মামলার নথিপত্র সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার তিনটি রিটের ওপর বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলে নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এ আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।

আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, প্রিজাইডিং জাজ খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এমন আদেশ দিয়েছেন। কিন্ত দ্বিতীয় জাজ ডিসেন্টিং অর্ডার দিয়েছেন। অর্থাৎ দাঁড়ালো বিভক্তি আদেশ এসেছে। প্রিজাইডিং জাজ দিয়েছেন খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার পক্ষে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ না এ মর্মে রুল জারি করেছেন। ডাইরেকশন দিয়েছেন নির্বাচনের যাবতীয় ফর্মালিটিজ নেওয়ার জন্য।

বিভক্তি আদেশ এলে নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।
এর আগে শুনানি শেষে সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের’ আইন বিশেষজ্ঞ ইরিনি মারিয়া গোনারি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রার্থিতা বিষয়ে খালেদা জিয়ার রিট শুনানি করতে বেঞ্চ গঠন

আপডেট টাইম : ০৫:২১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা পৃথক রিট শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ঠিক করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আজ বুধবার এ বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

সকালে নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেয়া বিভক্ত আদেশের কপি ফেরত পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান বলেন, বিস্তারিত আদেশ লিখতে নির্দেশ দিয়ে মামলার নথিপত্র সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার তিনটি রিটের ওপর বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলে নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এ আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।

আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, প্রিজাইডিং জাজ খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এমন আদেশ দিয়েছেন। কিন্ত দ্বিতীয় জাজ ডিসেন্টিং অর্ডার দিয়েছেন। অর্থাৎ দাঁড়ালো বিভক্তি আদেশ এসেছে। প্রিজাইডিং জাজ দিয়েছেন খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার পক্ষে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ না এ মর্মে রুল জারি করেছেন। ডাইরেকশন দিয়েছেন নির্বাচনের যাবতীয় ফর্মালিটিজ নেওয়ার জন্য।

বিভক্তি আদেশ এলে নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।
এর আগে শুনানি শেষে সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের’ আইন বিশেষজ্ঞ ইরিনি মারিয়া গোনারি।