হাওর বার্তা ডেস্কঃ রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেও যারা প্রার্থিতা ফেরত পাননি। তাদের অনেকেই প্রার্থিতা ফেরত পেতে উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন। তবে আদালতে আপিল করতে হলে ইসি থেকে দেয়া সার্টিফায়েড কপি জমা দিতে হবে। কিন্তু শনিবার তিন দিনের আপিল শুনানি শেষ হলেও রোববার দুপুর পর্যন্ত অনেকেই প্রার্থিতা বাতিলের সেই কপি হাতে পাননি। আর এ জন্য আজ দুপুরের দিকে তারা নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার সকাল থেকে আপিল না মঞ্জুরের সার্টিফায়েড কপি পেতে ইসিতে ভিড় জমায় অসংখ্য প্রার্থী। তবে দুপুর পর্যন্ত রায়ের কপি না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন তারা।
এ সময় অনেকেই কপি না পেয়ে ইসির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। দুপুর ২টা পর্যন্ত রায়ের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়ায় তারা বিক্ষোভ করেন।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত যাদের আবেদন না মঞ্জুর করা হয়েছে, তাদের বেশি ভাগকেই এখনো সার্টিফায়েড কপি দিতে পারেনি কমিশন।
বিক্ষুব্ধরা জানান, আজ (৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। অথচ এখন পর্যন্ত তারা রায়ের কপি দিচ্ছে না। তারা কখন কপি পাবেন, আর আপিলই বা করবেন কখন।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে যাদের আপিল না মঞ্জুর হয়েছে তাদের মধ্যে ১৯ জনের রায়ের কপি ইসিতে রয়ে গেছে। চারজনের রায়ে কপি খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
সার্টিফায়েড কপি না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা মো. মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার আপিল আবেদন না-মঞ্জুর হয় শুনানির দ্বিতীয় দিন (৭ ডিসেম্বর)। এরপর ৮ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল থেকে রাত ২টা পর্যন্ত নির্বাচন ভবনে রায়ের কপি নেয়ার জন্য আমার চাচাতো ভাই অপেক্ষা করেন। তারপরও কপি না পেয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে। আজ সকালে আবার আসি। কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন রায়ের কপি দেয়নি।
মোশারফ হোসেনের মতো আপিল শুনানির তৃতীয় দিনে মনোনয়নপত্র না-মঞ্জুর হওয়া কারো রায়ের কপিই এখন পর্যন্ত দিতে পারেনি ইসি।
রায়ের কপি না পেলে অনেক প্রার্থীই আদালতে রিট করার সুযোগ পাবেন না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ সময় কুড়িগ্রাম-২ আসনের আবু সুফিয়ান বলেন, রায়ের কপি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আদালতে যেতে পারছি না।