ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্মহত্যার আগে সুইসাইড নোটে অন্তুর বয়ান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৩৫০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে স্নাতকোত্তর ফলপ্রত্যাশী এক তরুণী। ওই তরুণীর নাম ফৌজিয়া খানম অন্তু (২৩)। আত্মহত্যার আগে সুইসাইড নোটে তিনি উল্লেখ করেন প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। এলাকায় এই আত্মহত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে।

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা সদর শহরের রাকুয়াইল এলাকার নিজ বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা যায়, ফৌজিয়া খানম অন্তু কুয়েতপ্রবাসী ফরিদ উদ্দিন খান এর মেয়ে। তিনি সরকারি গুরুদয়াল কলেজ থেকে ভূগোল বিষয়ে অনার্স পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তিন বোন ও এক ভাই এর মধ্যে ফৌজিয়া সুলতানা অন্তু সবার বড়।

আত্মহত্যার আগে পেন্সিল দিয়ে ডায়েরির পাতা ছিঁড়ে চিরকুট লিখে যান ফৌজিয়া খানম অন্তু। চিরকুটে তিনি তার আত্মহত্যার কারণ তিনি লিখে গেছেন।

ফৌজিয়া খানম অন্তু’র চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য সহকারী জজ সুমন মিয়া (গাইবান্ধা) দায়ী। সে আমার সব কিছু জেনেও আমাকে স্বপ্ন দেখাইছে। আমার সাথে অনেক দূর পর্যন্ত আসছে। এখন আমি তার যোগ্য না খারাপ মেয়ে বলে ছেড়ে দিল। বাট এখন আর খাইরুল ইসলাম (ভূগোল পরিবেশ) মাস্টার্স আমার ক্লাসমেট তার সাথে আমার এক সময় একটা এফেয়ার ছিল। তারে আমি হেল্প করতে গিয়ে নিজের ইমেজ নষ্ট করল। সব সময় হেল্প করেছি। আর সে আমার নামে এতো খারাপ খারাপ ছড়ায়। আর খাইরুল চিনে এই ছেলেকে। সে আমার নামে অনেক মিথ্যা কথা বলেছে। কোন দিন তার সাথে এফেয়ার ছিল না। তারপরও এমন কথা বলছে, যা মুখে বলাও পাপ।’

আমার আম্মা তোমারে অনেক জ্বালিয়েছি ছোটবেলা থেকে। তুমি পারলে আমাকে ক্ষমা কর। চিরকুটের নিচে আরও লিখা ছিল, ‘আমার লাশটি কাটাছিঁড়া করতে দিও না।’

এছাড়া চিরকুটের আরেক পৃষ্ঠায় লিখা ছিল, ‘আম্মা কোনদিন এদের ছেড়ে দিও না। দাদার কাছে গিয়ে হলেও এর বিচার যেন হয়। তোমার কাছে এই অনুরোধ।’

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান হাবীব জানান, তদন্তের জন্য তারা নিহত ফৌজিয়ার সুইসাইড নোট এবং তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি জব্দ করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আত্মহত্যার আগে সুইসাইড নোটে অন্তুর বয়ান

আপডেট টাইম : ১২:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে স্নাতকোত্তর ফলপ্রত্যাশী এক তরুণী। ওই তরুণীর নাম ফৌজিয়া খানম অন্তু (২৩)। আত্মহত্যার আগে সুইসাইড নোটে তিনি উল্লেখ করেন প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। এলাকায় এই আত্মহত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে।

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা সদর শহরের রাকুয়াইল এলাকার নিজ বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা যায়, ফৌজিয়া খানম অন্তু কুয়েতপ্রবাসী ফরিদ উদ্দিন খান এর মেয়ে। তিনি সরকারি গুরুদয়াল কলেজ থেকে ভূগোল বিষয়ে অনার্স পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তিন বোন ও এক ভাই এর মধ্যে ফৌজিয়া সুলতানা অন্তু সবার বড়।

আত্মহত্যার আগে পেন্সিল দিয়ে ডায়েরির পাতা ছিঁড়ে চিরকুট লিখে যান ফৌজিয়া খানম অন্তু। চিরকুটে তিনি তার আত্মহত্যার কারণ তিনি লিখে গেছেন।

ফৌজিয়া খানম অন্তু’র চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য সহকারী জজ সুমন মিয়া (গাইবান্ধা) দায়ী। সে আমার সব কিছু জেনেও আমাকে স্বপ্ন দেখাইছে। আমার সাথে অনেক দূর পর্যন্ত আসছে। এখন আমি তার যোগ্য না খারাপ মেয়ে বলে ছেড়ে দিল। বাট এখন আর খাইরুল ইসলাম (ভূগোল পরিবেশ) মাস্টার্স আমার ক্লাসমেট তার সাথে আমার এক সময় একটা এফেয়ার ছিল। তারে আমি হেল্প করতে গিয়ে নিজের ইমেজ নষ্ট করল। সব সময় হেল্প করেছি। আর সে আমার নামে এতো খারাপ খারাপ ছড়ায়। আর খাইরুল চিনে এই ছেলেকে। সে আমার নামে অনেক মিথ্যা কথা বলেছে। কোন দিন তার সাথে এফেয়ার ছিল না। তারপরও এমন কথা বলছে, যা মুখে বলাও পাপ।’

আমার আম্মা তোমারে অনেক জ্বালিয়েছি ছোটবেলা থেকে। তুমি পারলে আমাকে ক্ষমা কর। চিরকুটের নিচে আরও লিখা ছিল, ‘আমার লাশটি কাটাছিঁড়া করতে দিও না।’

এছাড়া চিরকুটের আরেক পৃষ্ঠায় লিখা ছিল, ‘আম্মা কোনদিন এদের ছেড়ে দিও না। দাদার কাছে গিয়ে হলেও এর বিচার যেন হয়। তোমার কাছে এই অনুরোধ।’

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান হাবীব জানান, তদন্তের জন্য তারা নিহত ফৌজিয়ার সুইসাইড নোট এবং তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি জব্দ করেছেন।