বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম : চীনা দূত

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদেশি সাহায্য ছাড়াই সুষ্ঠু নির্বাচন করার সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং ঝ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনও চমৎকার ভাবে সম্পন্ন হবে।’ আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চীনের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কসমস গ্রুপের কসমস ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের সম্ভাবনা’ শীর্ষক

এই সংলাপে দু’দেশের বিশেষজ্ঞরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সম্পর্ক, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

আর মাত্র ২১ দিন পরেই ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী নির্বাচন প্রায়ই চূড়ান্ত করার পথে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে চীন এখনও কোনো ধরনের মন্তব্য করেনি। নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থানও স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে চীনের ভাবনা জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত জ্যাং ঝ বলেন, ‘আমরা আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিবিঘ হবে। চীন বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ এবং এখানকার রাজনৈতিক দলগুলো এটি করতে পারবে। পাশাপাশি বিদেশি সাহায্য ছাড়াই সুষ্ঠ নির্বাচন করার মত সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলে মনে করে চীন। আশা করি খুব চমৎকার একটা নির্বাচন হবে।’

নির্বাচনে চীন কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা জানতে চাইলে চীনের রাষ্ট্রদূতের বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই সংকট সমাধানে চীন শুরু থেকেই গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছে। আমরা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছি।’

‘বাংলাদেশ-চীন একে অপরের ওপর নিরর্ভশীল। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক ও অংশীদারিত্ব সম্পর্ক আরও বাড়াতে হবে, এতে সবাই লাভবান হবে। আমরা আশা করছি দু’দেশ উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে থাকব।’

এ সময় চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন করতে আগ্রহী। সে কারণেই এই বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিঙ্গাপুরের ইন্সটিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর