হাওর বার্তা ডেস্কঃ আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জের পাঁচটি আসনের মোট ৯ জন প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা ফিরে পেলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের ওপর শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনে তাঁদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন।
আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ৯ জনের সবাই দলীয় প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে বিএনপির দুইজন, সিপিবি’র দুইজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দুইজন, জাতীয় পার্টির একজন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর একজন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর একজন প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
তবে এ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে রেজাউল করিম খান চুন্নুকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ফলে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল খান আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও তাঁর পক্ষে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব হবে না।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে তিন জনের মনোনয়নপত্র আপিলে বৈধ ঘোষিত হয়েছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদ হোসাইন, সিপিবি প্রার্থী নুরুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. সালাউদ্দিন রুবেল আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে দুই জনের মনোনয়নপত্র আপিলে বৈধ ঘোষিত হয়েছে। এ আসনে বিএনপির সাইফুল ইসলাম সুমন ও সিপিবি প্রার্থী ডা. এনামুল হক ইদ্রিছ আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে মনোননয়নপত্র বাছাইয়ে বাদ পড়া একমাত্র প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী সেলিনা সুলতানার মনোনয়নপত্র আপিলে বৈধ ঘোষিত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মোহাম্মদ মুছা খান এর মনোনয়নপত্র আপিলে বৈধ ঘোষিত হয়েছে।