ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈয়দ আশরাফ প্রার্থী না হলে নির্বাচন করতে চান রাষ্ট্রপতির পুত্র রাসেল আহমেদ তুহিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮
  • ৫১১ বার

 হাওর বার্তা ডেস্কঃকিশোরগঞ্জ -১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও  জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সামনের নির্বাচনে প্রার্থী না হলে এ আসন থেকে দলের হয়ে নির্বাচন করতে চান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অসুস্থার কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে প্রার্থী না-ও হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে তুহিন যে সামনের নির্বাচনে এ আসন থেকে দলের হয়ে নির্বাচন করতে চান, তা নিয়ে সব মহলে আলোচনার হচ্ছে। তা ছাড়া তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সমর্থকদের কথাবার্তায় এ আসন থেকে তুহিনের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের বিষয়টিও স্পষ্ট।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে  বলেন,  আমরা এ আসনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিকল্প কাউকে ভাবছি না। তিনি মনে করেন তাঁদের নেতা নির্বাচনের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং নির্বাচন করবেন। একান্তই যদি প্রার্থী না হন, ওই পরিস্থিতিতে এসব নিয়ে দলের হাইকমান্ড চিন্তা করবে।

নেতাকর্মীরা মনে করেন, নিজের প্রার্থিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও রাসেল আহমেদ তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুরে বড় বড় সভা-সমাবেশ করে মাঠ গুছিয়ে রাখছেন। নির্বাচন করতে যা প্রয়োজন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করাটা যেন সহজ হয়।

তুহিনের সমর্থকদের দাবি, দলের মনোনয়ন পেলে তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে সহজেই জয়ী হবেন । তাঁরা বলেন, তিনি তাঁর বাবা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মতো মিশুক প্রকৃতির লোক। মানুষের আপদ-বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন। এ জন্য নেতাকর্মীরা তো বটেই সাধারণ মানুষও তাঁকে পছন্দ করে।

গত দেড়-দুই বছর ধরে রাসেল আহমেদ তুহিন এ আসনে তাঁর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। গত রমজানে রাসেল আহমেদ তুহিন শহরের পুরনো স্টেডিয়ামে অন্তত ২৫ হাজার মানুষের জন্য ইফতার পার্টির আয়োজন করে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন। এরপর গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওই স্টেডিয়ামে আয়োজিত তাঁর এক জনসভায় হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতি দেখে অবাক হয় শহরের লোকজন। সেই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বক্তৃতা করেন। জনসভায় তুহিনকে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জোরালো দাবি ওঠে। তা ছাড়া তিনি দুই উপজেলার গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। করছেন ছোটখাটো উঠান বৈঠক থেকে শুরু করে বড় সভা-সমাবেশও।

তুহিনের সমর্থকরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির ছেলে কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুরে কতটা জনপ্রিয়, তা তিনি কয়েকবার প্রমাণ দিয়েছেন। এ কারণে জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিচার করলে তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা রাষ্ট্রপতির ছেলে তুহিনের জনপ্রিয়তার কথা স্বীকার করে বলেছেন, সৈয়দ আশরাফ প্রার্থী না হলে মনোনয়নের দৌড়ে তুহিন অনেক এগিয়ে থাকবেন।

রাসেল আহমেদ তুহিন বলেন, ‘আমিও মনে-প্রাণে চাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সুস্থ হয়ে এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তিনি সবারই প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তবে তিনি যদি নির্বাচন না করেন, তাহলে এ আসন থেকে কাউকে না কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি মাঠে-ময়দানে নৌকার প্রতীকের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নিজের মাঠ গুছিয়ে রাখছি। ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছি। দেশ ও দলের প্রয়োজনে সাড়া দিতে যেন বেগ পেতে না হয়।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সৈয়দ আশরাফ প্রার্থী না হলে নির্বাচন করতে চান রাষ্ট্রপতির পুত্র রাসেল আহমেদ তুহিন

আপডেট টাইম : ০৭:১৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮

 হাওর বার্তা ডেস্কঃকিশোরগঞ্জ -১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও  জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সামনের নির্বাচনে প্রার্থী না হলে এ আসন থেকে দলের হয়ে নির্বাচন করতে চান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অসুস্থার কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে প্রার্থী না-ও হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে তুহিন যে সামনের নির্বাচনে এ আসন থেকে দলের হয়ে নির্বাচন করতে চান, তা নিয়ে সব মহলে আলোচনার হচ্ছে। তা ছাড়া তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সমর্থকদের কথাবার্তায় এ আসন থেকে তুহিনের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের বিষয়টিও স্পষ্ট।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে  বলেন,  আমরা এ আসনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিকল্প কাউকে ভাবছি না। তিনি মনে করেন তাঁদের নেতা নির্বাচনের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং নির্বাচন করবেন। একান্তই যদি প্রার্থী না হন, ওই পরিস্থিতিতে এসব নিয়ে দলের হাইকমান্ড চিন্তা করবে।

নেতাকর্মীরা মনে করেন, নিজের প্রার্থিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও রাসেল আহমেদ তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুরে বড় বড় সভা-সমাবেশ করে মাঠ গুছিয়ে রাখছেন। নির্বাচন করতে যা প্রয়োজন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করাটা যেন সহজ হয়।

তুহিনের সমর্থকদের দাবি, দলের মনোনয়ন পেলে তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে সহজেই জয়ী হবেন । তাঁরা বলেন, তিনি তাঁর বাবা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মতো মিশুক প্রকৃতির লোক। মানুষের আপদ-বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন। এ জন্য নেতাকর্মীরা তো বটেই সাধারণ মানুষও তাঁকে পছন্দ করে।

গত দেড়-দুই বছর ধরে রাসেল আহমেদ তুহিন এ আসনে তাঁর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। গত রমজানে রাসেল আহমেদ তুহিন শহরের পুরনো স্টেডিয়ামে অন্তত ২৫ হাজার মানুষের জন্য ইফতার পার্টির আয়োজন করে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন। এরপর গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওই স্টেডিয়ামে আয়োজিত তাঁর এক জনসভায় হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতি দেখে অবাক হয় শহরের লোকজন। সেই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বক্তৃতা করেন। জনসভায় তুহিনকে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জোরালো দাবি ওঠে। তা ছাড়া তিনি দুই উপজেলার গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। করছেন ছোটখাটো উঠান বৈঠক থেকে শুরু করে বড় সভা-সমাবেশও।

তুহিনের সমর্থকরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির ছেলে কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুরে কতটা জনপ্রিয়, তা তিনি কয়েকবার প্রমাণ দিয়েছেন। এ কারণে জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিচার করলে তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা রাষ্ট্রপতির ছেলে তুহিনের জনপ্রিয়তার কথা স্বীকার করে বলেছেন, সৈয়দ আশরাফ প্রার্থী না হলে মনোনয়নের দৌড়ে তুহিন অনেক এগিয়ে থাকবেন।

রাসেল আহমেদ তুহিন বলেন, ‘আমিও মনে-প্রাণে চাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সুস্থ হয়ে এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তিনি সবারই প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তবে তিনি যদি নির্বাচন না করেন, তাহলে এ আসন থেকে কাউকে না কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি মাঠে-ময়দানে নৌকার প্রতীকের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নিজের মাঠ গুছিয়ে রাখছি। ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছি। দেশ ও দলের প্রয়োজনে সাড়া দিতে যেন বেগ পেতে না হয়।’