ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরছেন জেলেরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
  • ২২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মা-ইলিশ সংরক্ষণ ও প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে গত ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত (মোট ২২ দিন)  প্রজননক্ষেত্রের সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮’বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছিল।

ইলিশ ধরার সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ২৮ অক্টোবর, রবিবার ঘড়িতে রাত ১২টা বাজতেই। ইলিশ ধরে এবং বিক্রি করে যাদের সংসার চলে, ২২ দিন পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল তারা। আজ থেকে ইলিশ ধরতে পারছেন সেসব জেলেরা। আবারও রূপালী ইলিশে ভরে উঠবে হাট-বাজার।

ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল যেসব প্রজননক্ষেত্রগুলোতে

মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী থেকে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন থেকে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গণ্ডামার পয়েন্ট।

এ ছাড়া ওই সময়ে প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ছিল।

দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাসমূহেও এ ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা পরিপালন নিশ্চিত করতে ওই সময়ে দেশের মাছঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে অনেক জেলেকে কারাদন্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরছেন জেলেরা

আপডেট টাইম : ১১:৪৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মা-ইলিশ সংরক্ষণ ও প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে গত ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত (মোট ২২ দিন)  প্রজননক্ষেত্রের সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮’বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছিল।

ইলিশ ধরার সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ২৮ অক্টোবর, রবিবার ঘড়িতে রাত ১২টা বাজতেই। ইলিশ ধরে এবং বিক্রি করে যাদের সংসার চলে, ২২ দিন পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল তারা। আজ থেকে ইলিশ ধরতে পারছেন সেসব জেলেরা। আবারও রূপালী ইলিশে ভরে উঠবে হাট-বাজার।

ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল যেসব প্রজননক্ষেত্রগুলোতে

মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী থেকে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন থেকে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গণ্ডামার পয়েন্ট।

এ ছাড়া ওই সময়ে প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ছিল।

দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাসমূহেও এ ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা পরিপালন নিশ্চিত করতে ওই সময়ে দেশের মাছঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে অনেক জেলেকে কারাদন্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।