ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি বেতন ও সম্মান পাওয়া উচিত : শিক্ষামন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩৭৮ বার

সরকার শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শিক্ষকদের সম্মান সবার উপরে। শিক্ষকদের দাবির প্রতি আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি বেতন ও সম্মান দিতে হবে।
৯ অক্টোবর ২০১৫ আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪র্থ জাতীয় শিক্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি একথা বলেন।
শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা আছে জানিয়ে সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, শিক্ষকরা আন্দোলন না করেও তাদের দাবি দাওয়া আদায় করতে পারেন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে ২৩৩৩১টি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে এবং ১০ লক্ষ শিক্ষককে সৃজনশীল শিক্ষা ও আইসিটি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি শিক্ষকদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে শিক্ষা দেয়ার এবং নৈতিকতার মানদন্ডের শিক্ষক এবং ছাত্রদের বলিষ্ঠ হবার আহ্বান জানান। শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা এবং শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে কীভাবে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ চান নাহিদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, অবশ্যই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও মর্যাদার ব্যাপারে আপোষ করা যাবে না। শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর ওপরও জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.এম.এম সফিউল্লাহ।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এ্যামিরিটাস ড. মনজুর আহমদ। সম্মেলন কার্যক্রম উপস্থান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. এম. এহ্ছানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লিটারেসি এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকদের ভূমিকা, যথাযথ শিক্ষণ-শিখন পদ্ধতি অনুশীলন, আইসিটি’র ব্যবহার ও পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের নানাদিক তুলে ধরার একাডেমিক প্লাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ লিটারেসি এসোসিয়েশন (ইন্টারন্যাশনাল লিটারেসি এসোসিয়েশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯-১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪র্থ জাতীয় শিক্ষক সম্মেলন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, গণসাক্ষরতা অভিযান ও আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করছে বাংলাদেশ লিটারেসি এসোসিয়েশন (বিএলএ)।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি বেতন ও সম্মান পাওয়া উচিত : শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:১২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০১৫

সরকার শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শিক্ষকদের সম্মান সবার উপরে। শিক্ষকদের দাবির প্রতি আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি বেতন ও সম্মান দিতে হবে।
৯ অক্টোবর ২০১৫ আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪র্থ জাতীয় শিক্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এম.পি একথা বলেন।
শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা আছে জানিয়ে সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, শিক্ষকরা আন্দোলন না করেও তাদের দাবি দাওয়া আদায় করতে পারেন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে ২৩৩৩১টি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে এবং ১০ লক্ষ শিক্ষককে সৃজনশীল শিক্ষা ও আইসিটি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি শিক্ষকদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে শিক্ষা দেয়ার এবং নৈতিকতার মানদন্ডের শিক্ষক এবং ছাত্রদের বলিষ্ঠ হবার আহ্বান জানান। শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা এবং শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে কীভাবে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ চান নাহিদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, অবশ্যই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও মর্যাদার ব্যাপারে আপোষ করা যাবে না। শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর ওপরও জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.এম.এম সফিউল্লাহ।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এ্যামিরিটাস ড. মনজুর আহমদ। সম্মেলন কার্যক্রম উপস্থান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. এম. এহ্ছানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লিটারেসি এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকদের ভূমিকা, যথাযথ শিক্ষণ-শিখন পদ্ধতি অনুশীলন, আইসিটি’র ব্যবহার ও পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের নানাদিক তুলে ধরার একাডেমিক প্লাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ লিটারেসি এসোসিয়েশন (ইন্টারন্যাশনাল লিটারেসি এসোসিয়েশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯-১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪র্থ জাতীয় শিক্ষক সম্মেলন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, গণসাক্ষরতা অভিযান ও আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করছে বাংলাদেশ লিটারেসি এসোসিয়েশন (বিএলএ)।