ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের উত্তর প্রদেশে খাদ্যের অভাবে কাতরাচ্ছে হাজারো মানুষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর ২০১৮
  • ৩৯৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের উত্তর প্রদেশে খাদ্যের অভাবে কাতরাচ্ছে হাজারো মানুষ, একদিকে যখন খাদ্য শষ্যের সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে মোদি সরকার ভোটের রাজনীতিতে মেতেছেন, ঠিক অন্যদিকে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে ইঁদুর খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। মৃত্যু জেনেও সেই ইঁদুরই খাচ্ছেন তারা।

ছোট্ট কুঁড়েঘরের মধ্যেই গুঁতোগুঁতি করে থাকেন আট থেকে ১০ জন। ১০০ দিনের কাজের খাতায় নাম থাকলেও কাজ পান না এখানকার বাসিন্দারা। পেটের জালা মেটাতে তাই ইঁদুরই ভরসা।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভালো দিনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির ওপর ভর করেই উত্তর প্রদেশের জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু রাজ্য সরকারের এক বছরের মধ্যেই বেরিয়ে পড়ল আসল সত্যিটা। যে স্বপ্ন বিজেপি সরকার দেখিয়েছিল, সেটা যে কতটা অন্তঃসারশূন্য, তা বুঝতে পেরেছে উত্তর প্রদেশের মানুষ।

ফলে উত্তর প্রদেশের এই প্রত্যন্ত এলাকায় একে একে বাড়ছে মৃত্যু। এখন পর্যন্ত একই পরিবারের চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধা এতটাই যে আরও শিশুর মৃত্যু বাড়ছে। এরা বোধহয় শুনতে পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভালো দিনের প্রতিশ্রুতি।

শুধু নিজেরাই নন, সন্তানদের মুখেও সেই বিষ তুলে দিচ্ছেন। পেটের জালা মেটাতে প্রতিদিন একটু একটু করে বিষপান করছেন উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চল জেলার বাসিন্দারা। দারিদ্র্য আর অনাহারের থাবা তাদের গ্রাস করছে ধীরে ধীরে। দিনের পর দিন ক্ষুধায় কাতরাতে কাতরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে ছেলে-বুড়ো সবাই।

রাকবা দুলমা পাত্তি গ্রামের অবস্থা এতটাই করুন যে, চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। বছরখানেক আগেও দুই সন্তান নিয়ে বেশ ভালোই ছিলেন সোনা দেবী। ১৪ সেপ্টেম্বর তার মুখের হাসি নিভে গেছে। না খেতে পেয়ে মরে গেছে ছেলে দুটো। পেট পিঠের সঙ্গে লেগে যাওয়া শরীরটাকে পাঁজাকোলা করে হাসপাতালে নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। পাশের জঙ্গল খিড়কি গ্রামেও একই অবস্থা। ক্ষুধার জ্বালা সহ্য না করতে পেরে মরল ভিরেন্দ্র মুশার ৬ বছরের ছেলে। আর যারা বেঁচে আছেন, তাদের হালও বেহাল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভারতের উত্তর প্রদেশে খাদ্যের অভাবে কাতরাচ্ছে হাজারো মানুষ

আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের উত্তর প্রদেশে খাদ্যের অভাবে কাতরাচ্ছে হাজারো মানুষ, একদিকে যখন খাদ্য শষ্যের সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে মোদি সরকার ভোটের রাজনীতিতে মেতেছেন, ঠিক অন্যদিকে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে ইঁদুর খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। মৃত্যু জেনেও সেই ইঁদুরই খাচ্ছেন তারা।

ছোট্ট কুঁড়েঘরের মধ্যেই গুঁতোগুঁতি করে থাকেন আট থেকে ১০ জন। ১০০ দিনের কাজের খাতায় নাম থাকলেও কাজ পান না এখানকার বাসিন্দারা। পেটের জালা মেটাতে তাই ইঁদুরই ভরসা।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভালো দিনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির ওপর ভর করেই উত্তর প্রদেশের জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু রাজ্য সরকারের এক বছরের মধ্যেই বেরিয়ে পড়ল আসল সত্যিটা। যে স্বপ্ন বিজেপি সরকার দেখিয়েছিল, সেটা যে কতটা অন্তঃসারশূন্য, তা বুঝতে পেরেছে উত্তর প্রদেশের মানুষ।

ফলে উত্তর প্রদেশের এই প্রত্যন্ত এলাকায় একে একে বাড়ছে মৃত্যু। এখন পর্যন্ত একই পরিবারের চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধা এতটাই যে আরও শিশুর মৃত্যু বাড়ছে। এরা বোধহয় শুনতে পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভালো দিনের প্রতিশ্রুতি।

শুধু নিজেরাই নন, সন্তানদের মুখেও সেই বিষ তুলে দিচ্ছেন। পেটের জালা মেটাতে প্রতিদিন একটু একটু করে বিষপান করছেন উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চল জেলার বাসিন্দারা। দারিদ্র্য আর অনাহারের থাবা তাদের গ্রাস করছে ধীরে ধীরে। দিনের পর দিন ক্ষুধায় কাতরাতে কাতরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে ছেলে-বুড়ো সবাই।

রাকবা দুলমা পাত্তি গ্রামের অবস্থা এতটাই করুন যে, চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। বছরখানেক আগেও দুই সন্তান নিয়ে বেশ ভালোই ছিলেন সোনা দেবী। ১৪ সেপ্টেম্বর তার মুখের হাসি নিভে গেছে। না খেতে পেয়ে মরে গেছে ছেলে দুটো। পেট পিঠের সঙ্গে লেগে যাওয়া শরীরটাকে পাঁজাকোলা করে হাসপাতালে নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। পাশের জঙ্গল খিড়কি গ্রামেও একই অবস্থা। ক্ষুধার জ্বালা সহ্য না করতে পেরে মরল ভিরেন্দ্র মুশার ৬ বছরের ছেলে। আর যারা বেঁচে আছেন, তাদের হালও বেহাল।