দেশে আইনের শাসন না থাকায় আশঙ্কাজনক হারে শিশু নির্যাতন বেড়ে গেছে বলে উল্লেখ করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল।
তিনি বলেছেন, ‘সমাজের কিছু মানুষের আইন ও বিচারের ঊর্ধ্বে চলে যাওয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রবণতা থেকে শিশু নির্যাতন বাড়ছে। শিশুরা যেহেতু দুর্বল, তাদের প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নেই তাই তাদের সহজেই নির্যাতন করা যায়। নির্যাতন করে পার পাওয়া যায়। আর পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকায় শিশু নির্যাতন বাড়ছে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বুধবার বেলা ১১টায় চাইল্ড রাইটস এ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশের আয়োজনে ‘শিশু হত্যা ও নির্যাতনের বিষয়ে দ্রুত ও স্বচ্ছ বিচারের দাবিতে’ সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এ দুই মাসে ৩৭ শিশু বিদ্যালয় ও কর্মস্থলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মারা গেছে। এর আগে শুধু জুলাই মাসের ৭ দিনে সাতজন শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল বলেন, ‘শিশু অধিকার রক্ষায় সরকার বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন কতটুকু হচ্ছে, আইন প্রয়োগের সাথে জড়িত রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠাগুলো শিশুদের ব্যাপারে কতটুকু সংবেদনশীল এসব বিষয় নিয়ে আজ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর শামসুল আরেফিন বকুল বলেন, ‘দেশে আগে রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা পরিচালিত হত জনগণের মাধ্যমে, এখন তা চলছে ক্যাডারদের মাধ্যমে। একেক জায়গায় এককে ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণে চলে। ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির কারণে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে না। আর এ জন্য শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনা বেড়ে চলেছে।’