ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বোরিং শুরুর প্রস্তুতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৩২৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর একপাড়ে নগর ও বন্দর এবং অপর পাড়ে ভারী শিল্প এলাকা। এই দুই এলাকার সংযোগ ঘটিয়ে নদীর ভেতর দিয়ে টানেল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। নদীর তলদেশে সড়ক গড়তে খনন শুরু করতে যাচ্ছে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। এজন্য টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম)।

প্রস্তাবিত টানেল চট্টগ্রাম বন্দর নগরকে কর্ণফুলী নদীর অপর অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং পরোক্ষভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে সারা দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। প্রস্তাবিত টানেল সাইটে নদীর প্রস্থ ৭০০ মিটার এবং পানির গভীরতা ৯-১১ মিটার। প্রস্তাবিত টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪০০ মিটার।

বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে যেসব বড় প্রকল্পের কাজ করছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। চট্টগ্রামের মানুষ প্রতীক্ষায় রয়েছেন এ প্রকল্পের শেষ দেখতে। প্রকল্প পরিচালক হারুন উর রশীদ জানিয়েছেন, ২০২২ সালের পুরোটা লাগবে এটি শেষ হতে। ২০২৩ সালে টানেল যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।

টানেল চট্টগ্রাম বন্দর নগরকে কর্ণফুলী নদীর অপর অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং পরোক্ষভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে সারা দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, কর্নফুলী টানেলের কাজ ২৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে বাংলাদেশের আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে, বাকি অর্থ দিচ্ছে চীন।

সরজমিন চট্টগ্রাম টানেল নির্মাণ বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টানেলের বোরিং মেশিন চীন থেকে স্থাপনের কাজ চলছে। এ মাসের শেষদিকে মেশিনটি বোরিং কাজ শুরু করবে মেরিন একাডেমি সংলগ্ন এলাকা থেকে।

চার লেইনের তিন দশমিক চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্য দুই টিউবে নদীর তলদেশে যাবে টানেল। পূর্ব পশ্চিম প্রান্তে হবে পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বোরিং শুরুর প্রস্তুতি

আপডেট টাইম : ০৭:৩১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর একপাড়ে নগর ও বন্দর এবং অপর পাড়ে ভারী শিল্প এলাকা। এই দুই এলাকার সংযোগ ঘটিয়ে নদীর ভেতর দিয়ে টানেল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। নদীর তলদেশে সড়ক গড়তে খনন শুরু করতে যাচ্ছে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। এজন্য টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম)।

প্রস্তাবিত টানেল চট্টগ্রাম বন্দর নগরকে কর্ণফুলী নদীর অপর অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং পরোক্ষভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে সারা দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। প্রস্তাবিত টানেল সাইটে নদীর প্রস্থ ৭০০ মিটার এবং পানির গভীরতা ৯-১১ মিটার। প্রস্তাবিত টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪০০ মিটার।

বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে যেসব বড় প্রকল্পের কাজ করছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। চট্টগ্রামের মানুষ প্রতীক্ষায় রয়েছেন এ প্রকল্পের শেষ দেখতে। প্রকল্প পরিচালক হারুন উর রশীদ জানিয়েছেন, ২০২২ সালের পুরোটা লাগবে এটি শেষ হতে। ২০২৩ সালে টানেল যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।

টানেল চট্টগ্রাম বন্দর নগরকে কর্ণফুলী নদীর অপর অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং পরোক্ষভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে সারা দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, কর্নফুলী টানেলের কাজ ২৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে বাংলাদেশের আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে, বাকি অর্থ দিচ্ছে চীন।

সরজমিন চট্টগ্রাম টানেল নির্মাণ বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টানেলের বোরিং মেশিন চীন থেকে স্থাপনের কাজ চলছে। এ মাসের শেষদিকে মেশিনটি বোরিং কাজ শুরু করবে মেরিন একাডেমি সংলগ্ন এলাকা থেকে।

চার লেইনের তিন দশমিক চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্য দুই টিউবে নদীর তলদেশে যাবে টানেল। পূর্ব পশ্চিম প্রান্তে হবে পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।