হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তিনজনের তালিকায় স্থান পেয়েছেন লুকা মড্রিচ, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও মোহামেদ সালাহ। তবে তাতে ঠাঁই হয়নি লিওনেল মেসির। এ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। অবশেষে তা নিয়ে মুখ খুললেন ইভান রাকিটিচ। বললেন মেসি সর্বকালের সেরা। তবে এ বছরটা মড্রিচের। এখন পর্যন্ত পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসি।
চলতি বছরটিও খুব একটা খারাপ যায়নি তার। বার্সেলোনাকে জিতিয়েছেন লা লিগা ও কোপা ডেল রে। সতীর্থদের বাজে পারফরম্যান্সের দরুণ বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেননি তিনি।
ছোট ম্যাজিসিয়ানের চেয়ে রোনাল্ডোর পারফরম্যান্সের গ্রাফও ততটা ঊর্ধ্বমুখী নয়। রিয়াল মাদ্রিদকে জিতিয়েছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। স্প্যানিশ লিগে ঘটেছে ভরাডুবি। বিশ্বকাপেও ভালো করতে পারেননি।
গেল মৌসুমটা স্বপ্নের মতো কেটেছে সালাহর। সব মিলিয়ে গোটা মৌসুমে করেছিলেন ৪৪ গোল। লিভারপুলকে তুলেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। তবে বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি তারও। গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছেন সালাহর মিসর।
সার্বিক পারফরম্যান্স আমলে নিলে ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে শর্টকাট তালিকায় স্থান পাওয়া উচিত ছিল মেসির। তবু না পাওয়ায় আফসোস ওয়ান্ডারম্যান ভক্তদের। একই ক্লাব বার্সায় তার সঙ্গে খেলেন রাকিটিচ। তবে আর সবার মতো সতীর্থের প্রতি মায়াভ্রম নেই তার, নিঃসন্দেহে বর্তমান বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মেসি। সম্ভবত সর্বকালের সেরা ফুটবলারও। ১০ জনের ৯ জনই হয়তো তাই বলবে। তবে আমি মনে করি, চলতি বছরটা মড্রিচের।
রাশিয়া বিশ্বকাপে রূপকথার গল্প রচনা করেছে ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকে অবাক করে ফাইনাল খেলেছেন ক্রোয়াটরা। ফ্রান্সের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হলেও ‘বিজয়মাল্য’ তাদের প্রাপ্য। এর নেপথ্য কারিগর মড্রিচ। এর স্বীকৃতিও পান। তারাভরা বিশ্বকাপে জেতেন সেরার পুরস্কার। তা এখনও অব্যাহত আছে। সদ্যই উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন ৩৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার।
রাকিটিচ বলেন, বন্ধু বলেই বলছি না, এবার ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারও তার পাওয়া উচিত। এ বছর সে যা করে দেখিয়েছে তা সত্যিই ঈর্ষা জাগানিয়া। একক প্রচেষ্টায় সব কিছু করেছে ও। তাকে কেউ সহায়তা করেনি। আশা করি, সেই মর্যাদা পাবে মাঝমাঠের তুখোড় এ সৈনিক।