হাওর বার্তা ডেস্কঃ আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে আজ দেশ ছাড়বে মাশরাফিরা। টাইগাররা দেশ ছাড়ার আগে গতকাল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে দুশ্চিন্তাটা আছেই। সাকিব কি সময়মতো দলের সাথে মিলিত হবেন, নাকি বিশ্রামে কাটিয়ে চিকিৎসক ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরব আমিরাত আসবেন? তামিম কি দলের সাথে যাবেন? নাকি কদিন দেখে আঙুলের ব্যথা কমলে তারপর দুবাই যাবেন? এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান চালিকাশক্তি সাকিব-তামিম।
তাই যে কোন সিরিজ বা টুর্নামেন্টে এ দুজনের উপস্থিতি সমর্থকদের জন্য স্বস্তিদায়ক। তাই টাইগার ভক্তরা মনে প্রানে ভক্তরা চান, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান ইনজুরিমুক্ত হয়ে দলে থাকুক এবং সামর্থ্যরে সেরাটা দিয়েই পারফর্ম করুক। এসব প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেলো দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ, ‘না না, তামিম ও সাকিবের কারো খেলা নিয়েই সংশয় নেই। এমন খবরে খুশি বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা। নান্নু বলেন, আমাদের কাছে এমন কোন খবর নেই, যা শঙ্কার কারণ হতে পারে।
সাধারণতঃ কোন ক্রিকেটারের ইনজুরি বা সমস্যা থাকলে তা ফিজিওর মাধ্যমে আমাদের কাছে আসে। আমরা তখন অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেই। ফিটনেসে ঘাটতি থাকলে কিংবা ইনজুুরি হলে তা পরিমাপের চেষ্টা করা হয়। ফিটনেস ঘাটতি কতটা কিংবা ইনজুরির মাত্রাই বা কেমন, তা নিরুপণের পরই আসরা করণীয় স্থির করি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অমাদের কাছে সে অর্থে কোনই নেতিবাচক খবর নেই। তিনি যোগ করেন, সাকিবের ফিটনেস নিয়ে যে খবর চাওর হয়েছে এবং তা কেন্দ্র করে ভক্ত ও সমর্থকদের মনে যে সংশয়-সন্দেহর কালো মেঘ জন্মেছে, আমার জানা মতে তা ভিত্তিহীন। অমূলক।
সাকিব নিজে আমাদের কাছে তার ফিটনেস নিয়ে কোন অভিযোগ করেনি। ফিজিও, ট্রেনার, কোচ এবং বিসিবির চিকিৎসক কারো কাছেই সাকিব বলেনি যে, তার ফিটনেসে ঘাটতি আছে। বলেনি সে মাত্র ২০-৩০ ভাগ ফিট। যেহেতু তার ফিটনেস নিয়ে সাকিব টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে কোন অভিযোগ করেনি, তাই আমরা ধরেই নিয়েছি সে সম্পূর্ণ ফিট। আর যদি কোনো ঘাটতি থেকেও থাকে, সেটাও বড় কিছু নয়। তামিম ইকবালের ডান হাতের অনামিকায় ব্যথা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা, আমরা জানি নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে তামিম ইকবালেরও হাতের আঙুলে ব্যথা আছে।
তাই তো আমরা শেষ মূহুর্তে মুুমিনুলকে ব্যাকআপ হিসেবে দলে নিয়েছি। তারপরও আমার মনে হয় না, তামিমের সমস্যা তেমন গুরুতর কিছু। আশা করছি তা কমে যাবে এবং তামিম ঠিক খেলতে পারবে। এদিকে গতকাল দুপুরে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীও কোনোরকম সংশয়-শঙ্কার কথা শোনাননি। বরং তাকেও তামিম ও সাকিব ইস্যুতে বেশ ইতিবাচক মনে হয়েছে। দেবাশীষ বলেন, আমরা জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাকিব শতভাগ ফিট ছিল না। হাতে সমস্যা ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পুরোপুরি ফিট না হয়েও সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজে বেশ ভালো পারফর্ম করেছে।
দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানও রেখেছে। তারপর প্রায় এক মাস সময় কেটে গেছে। সাকিব বিশ্রামেই ছিল। যেহেতু আর খেলেনি এবং প্র্যাকটিসও করেনি; মোটামুটি বিশ্রাম পেয়েছে। তাই আমার তো মনে হয়, তার ঐ সমস্যা পুরোপুুরি ভালো না হলেও ফিটনেস লেভেল আরও ভালো হবার কথা। আমার মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের চেয়ে এশিয়া কাপে আমরা আরও ফিট সাকিবকে দেখবো। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক যোগ করেন, আর সত্যিই যদি সাকিবের ফিটনেসে বড় ধরণের ঘাটতি থাকতো, তাহলে আমরা জানতাম। কিন্তু সাকিব আমাদেরকে নিজের আঙুলের ব্যাথা ও ফিটনেস নিয়ে কোনো কথাই বলেনি।
তামিমের আঙুলের ব্যথা প্রসঙ্গে ডা. দেবাশীষ বলেন, ‘হ্যাঁ, তামিমের ডান হাতের অনামিকায় (রিং ফিঙ্গারে) ব্যথা আছে। সে কারণেই তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। আমার বিশ্বাস তার ব্যথা কমে যাবে। এবং আশা করছি তামিম ঠিকই এশিয়া কাপ খেলতে পারবে। একই কথা প্রযোজ্য নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাপারেও। তারও ব্যথা আছে এখনো। তবে মনে হয় সময়ের সাথে সাথে তা কমতে থাকবে।