হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্ষসেরা ফুটবলারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ পুরস্কারের জন্য তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে বেশ বেকায়দার মধ্যেই পড়ে গেছে ফিফা। তিন জনের তালিকায় লিওনেল মেসি না থাকায় বেজায় চটেছেন মেসি-ভক্তরা। নাম না থাকায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের তারকা ফরোয়ার্ড আতোইন গ্রিজমান তো নিজেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
প্রিয় শিষ্য গ্রিজমান না থাকায় প্রচণ্ড হতাশ ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমও। হতাশার পাশাপাশি ঘোষিত তিন জনের তালিকা ‘অদ্ভূত’ এক সমস্যার মধ্যেও ফেলে দিয়েছে ফ্রান্স কোচকে! সেটা আবার কেমন? শুধু গ্রিজমানকে নিয়ে নয়, ফ্রান্স কোচ আসলে হতাশ ফ্রান্সেরই কেউ তালিকায় না থাকায়। ফ্রান্স ফিফা আয়োজিত বিশ্বকাপ বিজয়ী। অথচ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কেউ ফিফার পুরস্কারের তালিকায় নেই! বিষয়টা মেনে নেওয়া ফ্রান্স কোচের জন্য কষ্টকরই বটে। নিজের হতাশাটা প্রকাশও করেছেন দেশম।
কিন্তু একদিকে স্বদেশের কেউ না থাকার হতাশা। অন্যদিকে ফিফা ঘোষিত সংক্ষিপ্ত তালিকা নিয়ে প্রশ্নও তুলতে পারছেন না ফ্রান্স। কারণ, তালিকায় যে তিনজন আছেন, সেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, লুকা মড্রিচ ও মোহাম্মেদ সালাহ-কাউকেই অযোগ্য মনে হচ্ছে না দেশমের।
কিন্তু এই বাস্তবতাটা বুঝলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কারো না থাকাটা হতাশই করেছে তাকে। ফিফা ঘোষিত তালিকা নিয়ে এই যে দ্বিমুখী ভাবনা, এটাই ‘অদ্ভূত’ সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে দেশমকে। বিশ্বকাপের বছরে প্রতিবারই ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার দৌড়ে বিশ্বকাপজয়ী দলের কেউ না কেউ থাকেন। কিন্তু এবার তার উল্টোটাই ঘটল। দেশমের হতাশাটা তাই যুক্তি সংগতই।
ফ্রান্স কোচ সঙ্গে যোগ করেন, ‘তবে আমি এটাও বলতে চাই, আতোইন বা ফ্রান্সের অন্য কোনো একজন খেলোয়াড়ের নাম থাকাটা প্রাপ্য ছিল। আশা করি আপনারা আমাকে অন্ধ দেশহিতৈষিতার কাটগড়ায় তুলবেন না। কারণ, আপনি যদি এই গ্রীষ্মে তাদের (ফরাসি খেলোয়াড়দের) অর্জন এবং ক্লাবের জার্সি গায়ে তারা যা করেছে তা বিবেচনা ককরেন, তাতে তালিকায় নাম থাকাটা তাদের প্রাপ্য।’
ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে এমন অবিশ্বাস্য সাফল্যের পরও কেন তালিকায় গ্রিজমানের জায়গা হলো না, সেটাই বুঝতে পারছেন না দেশম, ‘আতোইন ক্লাবের হয়ে ইউরোপা লিগ জিতেছে। ফাইনালে সেই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এটা অবশ্যই আমাদের বিবেচনা করা উচিত। কারণ, ভোট আসে সারা বিশ্ব থেকেই।