ঢাকা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিফার তালিকা নিয়ে ‘অদ্ভুত’ সমস্যায় ফ্রান্স কোচ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৩৭২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্ষসেরা ফুটবলারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ পুরস্কারের জন্য তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে বেশ বেকায়দার মধ্যেই পড়ে গেছে ফিফা। তিন জনের তালিকায় লিওনেল মেসি না থাকায় বেজায় চটেছেন মেসি-ভক্তরা। নাম না থাকায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের তারকা ফরোয়ার্ড আতোইন গ্রিজমান তো নিজেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন।

প্রিয় শিষ্য গ্রিজমান না থাকায় প্রচণ্ড হতাশ ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমও। হতাশার পাশাপাশি ঘোষিত তিন জনের তালিকা ‘অদ্ভূত’ এক সমস্যার মধ্যেও ফেলে দিয়েছে ফ্রান্স কোচকে! সেটা আবার কেমন? শুধু গ্রিজমানকে নিয়ে নয়, ফ্রান্স কোচ আসলে হতাশ ফ্রান্সেরই কেউ তালিকায় না থাকায়। ফ্রান্স ফিফা আয়োজিত বিশ্বকাপ বিজয়ী। অথচ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কেউ ফিফার পুরস্কারের তালিকায় নেই! বিষয়টা মেনে নেওয়া ফ্রান্স কোচের জন্য কষ্টকরই বটে। নিজের হতাশাটা প্রকাশও করেছেন দেশম।

কিন্তু একদিকে স্বদেশের কেউ না থাকার হতাশা। অন্যদিকে ফিফা ঘোষিত সংক্ষিপ্ত তালিকা নিয়ে প্রশ্নও তুলতে পারছেন না ফ্রান্স। কারণ, তালিকায় যে তিনজন আছেন, সেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, লুকা মড্রিচ ও মোহাম্মেদ সালাহ-কাউকেই অযোগ্য মনে হচ্ছে না দেশমের।

ফুটবল ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে কোচ ও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের অনন্য কীর্তি গড়েছেন দেশম। ফ্রান্সের কোচ ভালো করেই বোঝেন কে কে ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারের দৌড়ে থাকার যোগ্য। দেশম তাই স্পষ্ট করেই বলেছেন রোনালদো, মড্রিচ, সালাহ-এই তিনজনই পুরস্কার প্রাপ্তির যোগ্য।

কিন্তু এই বাস্তবতাটা বুঝলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কারো না থাকাটা হতাশই করেছে তাকে। ফিফা ঘোষিত তালিকা নিয়ে এই যে দ্বিমুখী ভাবনা, এটাই ‘অদ্ভূত’ সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে দেশমকে। বিশ্বকাপের বছরে প্রতিবারই ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার দৌড়ে বিশ্বকাপজয়ী দলের কেউ না কেউ থাকেন। কিন্তু এবার তার উল্টোটাই ঘটল। দেশমের হতাশাটা তাই যুক্তি সংগতই।

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের হতাশাটা উগড়েও দিয়েছেন ফ্রান্স কোচ। দেশম স্পষ্ট করেই বলেছেন তালিকায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের অন্তত একজনের থাকাটা যুক্তি সংগত ছিল। বিশেষ করে গ্রিজমানের নাম থাকা উচিত ছিল, ‘এটা সত্যিই হতাশাজনক। আমি এটা বলছি না যে, মনোনয়নটা অন্যায্য হয়েছে। কারণ বিষয়টা এমন নয় যে, পুরস্কারের দৌড়ে যে তিনজন আছেন, তারা কেউ যোগ্য নয়। তারা তিনজনেই যোগ্য।’

ফ্রান্স কোচ সঙ্গে যোগ করেন, ‘তবে আমি এটাও বলতে চাই, আতোইন বা ফ্রান্সের অন্য কোনো একজন খেলোয়াড়ের নাম থাকাটা প্রাপ্য ছিল। আশা করি আপনারা আমাকে অন্ধ দেশহিতৈষিতার কাটগড়ায় তুলবেন না। কারণ, আপনি যদি এই গ্রীষ্মে তাদের (ফরাসি খেলোয়াড়দের) অর্জন এবং ক্লাবের জার্সি গায়ে তারা যা করেছে তা বিবেচনা ককরেন, তাতে তালিকায় নাম থাকাটা তাদের প্রাপ্য।’

বিশ্বকাপে বিশেষ আলো ছড়িয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। দেশ ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করতে মিডফিল্ডার পল পগবাও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই দুজনের একজনও থাকতে পারতেন তালিকায়। তবে আতোইন গ্রিজমানের নামটি আলাদা করেই বলেছেন দেশম। ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে শুধু বিশ্বকাপ জেতা নয়, ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের হয়েও গত মৌসুমটি দুর্দান্ত কেটেছে তার। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অ্যাতলেতিকোকে ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতিয়েছেন গ্রিজমান। ফাইনালে পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছিলেন তিনিই। হয়েছিলেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়।

ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে এমন অবিশ্বাস্য সাফল্যের পরও কেন তালিকায় গ্রিজমানের জায়গা হলো না, সেটাই বুঝতে পারছেন না দেশম, ‘আতোইন ক্লাবের হয়ে ইউরোপা লিগ জিতেছে। ফাইনালে সেই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এটা অবশ্যই আমাদের বিবেচনা করা উচিত। কারণ, ভোট আসে সারা বিশ্ব থেকেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ফিফার তালিকা নিয়ে ‘অদ্ভুত’ সমস্যায় ফ্রান্স কোচ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্ষসেরা ফুটবলারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ পুরস্কারের জন্য তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে বেশ বেকায়দার মধ্যেই পড়ে গেছে ফিফা। তিন জনের তালিকায় লিওনেল মেসি না থাকায় বেজায় চটেছেন মেসি-ভক্তরা। নাম না থাকায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের তারকা ফরোয়ার্ড আতোইন গ্রিজমান তো নিজেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন।

প্রিয় শিষ্য গ্রিজমান না থাকায় প্রচণ্ড হতাশ ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমও। হতাশার পাশাপাশি ঘোষিত তিন জনের তালিকা ‘অদ্ভূত’ এক সমস্যার মধ্যেও ফেলে দিয়েছে ফ্রান্স কোচকে! সেটা আবার কেমন? শুধু গ্রিজমানকে নিয়ে নয়, ফ্রান্স কোচ আসলে হতাশ ফ্রান্সেরই কেউ তালিকায় না থাকায়। ফ্রান্স ফিফা আয়োজিত বিশ্বকাপ বিজয়ী। অথচ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কেউ ফিফার পুরস্কারের তালিকায় নেই! বিষয়টা মেনে নেওয়া ফ্রান্স কোচের জন্য কষ্টকরই বটে। নিজের হতাশাটা প্রকাশও করেছেন দেশম।

কিন্তু একদিকে স্বদেশের কেউ না থাকার হতাশা। অন্যদিকে ফিফা ঘোষিত সংক্ষিপ্ত তালিকা নিয়ে প্রশ্নও তুলতে পারছেন না ফ্রান্স। কারণ, তালিকায় যে তিনজন আছেন, সেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, লুকা মড্রিচ ও মোহাম্মেদ সালাহ-কাউকেই অযোগ্য মনে হচ্ছে না দেশমের।

ফুটবল ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে কোচ ও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের অনন্য কীর্তি গড়েছেন দেশম। ফ্রান্সের কোচ ভালো করেই বোঝেন কে কে ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারের দৌড়ে থাকার যোগ্য। দেশম তাই স্পষ্ট করেই বলেছেন রোনালদো, মড্রিচ, সালাহ-এই তিনজনই পুরস্কার প্রাপ্তির যোগ্য।

কিন্তু এই বাস্তবতাটা বুঝলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কারো না থাকাটা হতাশই করেছে তাকে। ফিফা ঘোষিত তালিকা নিয়ে এই যে দ্বিমুখী ভাবনা, এটাই ‘অদ্ভূত’ সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে দেশমকে। বিশ্বকাপের বছরে প্রতিবারই ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার দৌড়ে বিশ্বকাপজয়ী দলের কেউ না কেউ থাকেন। কিন্তু এবার তার উল্টোটাই ঘটল। দেশমের হতাশাটা তাই যুক্তি সংগতই।

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের হতাশাটা উগড়েও দিয়েছেন ফ্রান্স কোচ। দেশম স্পষ্ট করেই বলেছেন তালিকায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের অন্তত একজনের থাকাটা যুক্তি সংগত ছিল। বিশেষ করে গ্রিজমানের নাম থাকা উচিত ছিল, ‘এটা সত্যিই হতাশাজনক। আমি এটা বলছি না যে, মনোনয়নটা অন্যায্য হয়েছে। কারণ বিষয়টা এমন নয় যে, পুরস্কারের দৌড়ে যে তিনজন আছেন, তারা কেউ যোগ্য নয়। তারা তিনজনেই যোগ্য।’

ফ্রান্স কোচ সঙ্গে যোগ করেন, ‘তবে আমি এটাও বলতে চাই, আতোইন বা ফ্রান্সের অন্য কোনো একজন খেলোয়াড়ের নাম থাকাটা প্রাপ্য ছিল। আশা করি আপনারা আমাকে অন্ধ দেশহিতৈষিতার কাটগড়ায় তুলবেন না। কারণ, আপনি যদি এই গ্রীষ্মে তাদের (ফরাসি খেলোয়াড়দের) অর্জন এবং ক্লাবের জার্সি গায়ে তারা যা করেছে তা বিবেচনা ককরেন, তাতে তালিকায় নাম থাকাটা তাদের প্রাপ্য।’

বিশ্বকাপে বিশেষ আলো ছড়িয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। দেশ ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করতে মিডফিল্ডার পল পগবাও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই দুজনের একজনও থাকতে পারতেন তালিকায়। তবে আতোইন গ্রিজমানের নামটি আলাদা করেই বলেছেন দেশম। ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে শুধু বিশ্বকাপ জেতা নয়, ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের হয়েও গত মৌসুমটি দুর্দান্ত কেটেছে তার। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অ্যাতলেতিকোকে ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতিয়েছেন গ্রিজমান। ফাইনালে পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছিলেন তিনিই। হয়েছিলেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়।

ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে এমন অবিশ্বাস্য সাফল্যের পরও কেন তালিকায় গ্রিজমানের জায়গা হলো না, সেটাই বুঝতে পারছেন না দেশম, ‘আতোইন ক্লাবের হয়ে ইউরোপা লিগ জিতেছে। ফাইনালে সেই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এটা অবশ্যই আমাদের বিবেচনা করা উচিত। কারণ, ভোট আসে সারা বিশ্ব থেকেই।