ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দর ত্বকের জন্য নিমের জুড়ি নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫
  • ৪৯২ বার

আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে নিম প্রাচীনকাল থেকেই জনপ্রিয়। বাত, ম্যালেরিয়াসহ দাঁত, চোখের চিকিৎসায় ‌উপকারী নিম। সুন্দর ত্বকের জন্য পরীক্ষিত নিমের পাতা। নিমের মধ্যে রয়েছে নিমবিন, নিম্বিনেন, নিমবোলাইড, নিমান্দিয়েলসহ কিছু বিশেষ মিশ্র পদার্থ যা এন্টিফাঙ্গাল, এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে। এতে আরও রয়েছে শক্তিশালী এন্টিফাঙ্গাল- এজেন্ট গ্যাডোনিন, নিম্বিডল যা পা ও নখের ফাঙ্গাস, দাদ দূর করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যকৃতকে সক্রিয় রাখে, রক্ত পরিষ্কার করে ও শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। নিম হজমে সহায়ক ও শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়া সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে ম্যালেরিয়া ও ডায়াবেটিসেরও ভালো ওষুধ।

ভাইরাল রোগ: ভারতীয় উপমহাদেশে ভাইরাল রোগ নিরাময়ে নিম ব্যবহৃত হয়ে আসছে অনেক আগে থেকে। নিমপাতার রস ভাইরাস নির্মূল করে। আগে চিকেন পক্স, হাম ও অন্য চর্মরোগ হলে নিমপাতা বাটা লাগানো হতো। এছাড়াও নিমপাতা পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি দূর হয়।

রক্ত পরিষ্কার করে: নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এছাড়াও রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও নিমের জুড়ি নেই।

ম্যালেরিয়া: গ্যাডোনিন উপাদান সমৃদ্ধ নিম ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও নিমপাতা সিদ্ধ পানি ঠাণ্ডা করে স্প্রে বোতলে রাখুন। প্রতিদিন ঘরে স্প্রে করলে মশার উপদ্রব কমে যাবে।

বাত: নিমপাতা, নিমের বীজ ও বাকল বাতের ব্যথা সারাতে ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বাতের ব্যথায় নিমের তেলের ম্যাসাজও বেশ উপকারী।

চোখ: চোখে চুলকানি হলে নিমপাতা পানিতে দশ মিনিট সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন। চোখে সেই পানির ঝাপটা দিন। আরামবোধ করবেন।

ত্বক: সুন্দর ত্বকের জন্য নিমের জুড়ি নেই। রূপচর্চায় আদিকাল থেকেই নিম ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। আবার ঘরে তৈরি নিমের বড়িও খাওয়া যেতে পারে। বড়ি তৈরি করতে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এবার হাতে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন। বড় ডিশে ফ্যানের বাতোসে একদিন রেখে দিন। পরদিন রোদে শুকোতে দিন। নিমের বড়ির পানি একেবারে শুকিয়ে এলে এয়ারটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন।

দাঁত: দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই।

চুল: চুলের খুসকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ম্যাস‍াজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুসকি চলে যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দর ত্বকের জন্য নিমের জুড়ি নেই

আপডেট টাইম : ১০:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫

আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে নিম প্রাচীনকাল থেকেই জনপ্রিয়। বাত, ম্যালেরিয়াসহ দাঁত, চোখের চিকিৎসায় ‌উপকারী নিম। সুন্দর ত্বকের জন্য পরীক্ষিত নিমের পাতা। নিমের মধ্যে রয়েছে নিমবিন, নিম্বিনেন, নিমবোলাইড, নিমান্দিয়েলসহ কিছু বিশেষ মিশ্র পদার্থ যা এন্টিফাঙ্গাল, এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে। এতে আরও রয়েছে শক্তিশালী এন্টিফাঙ্গাল- এজেন্ট গ্যাডোনিন, নিম্বিডল যা পা ও নখের ফাঙ্গাস, দাদ দূর করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যকৃতকে সক্রিয় রাখে, রক্ত পরিষ্কার করে ও শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। নিম হজমে সহায়ক ও শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়া সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে ম্যালেরিয়া ও ডায়াবেটিসেরও ভালো ওষুধ।

ভাইরাল রোগ: ভারতীয় উপমহাদেশে ভাইরাল রোগ নিরাময়ে নিম ব্যবহৃত হয়ে আসছে অনেক আগে থেকে। নিমপাতার রস ভাইরাস নির্মূল করে। আগে চিকেন পক্স, হাম ও অন্য চর্মরোগ হলে নিমপাতা বাটা লাগানো হতো। এছাড়াও নিমপাতা পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি দূর হয়।

রক্ত পরিষ্কার করে: নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এছাড়াও রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও নিমের জুড়ি নেই।

ম্যালেরিয়া: গ্যাডোনিন উপাদান সমৃদ্ধ নিম ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও নিমপাতা সিদ্ধ পানি ঠাণ্ডা করে স্প্রে বোতলে রাখুন। প্রতিদিন ঘরে স্প্রে করলে মশার উপদ্রব কমে যাবে।

বাত: নিমপাতা, নিমের বীজ ও বাকল বাতের ব্যথা সারাতে ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বাতের ব্যথায় নিমের তেলের ম্যাসাজও বেশ উপকারী।

চোখ: চোখে চুলকানি হলে নিমপাতা পানিতে দশ মিনিট সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন। চোখে সেই পানির ঝাপটা দিন। আরামবোধ করবেন।

ত্বক: সুন্দর ত্বকের জন্য নিমের জুড়ি নেই। রূপচর্চায় আদিকাল থেকেই নিম ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। আবার ঘরে তৈরি নিমের বড়িও খাওয়া যেতে পারে। বড়ি তৈরি করতে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এবার হাতে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন। বড় ডিশে ফ্যানের বাতোসে একদিন রেখে দিন। পরদিন রোদে শুকোতে দিন। নিমের বড়ির পানি একেবারে শুকিয়ে এলে এয়ারটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন।

দাঁত: দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই।

চুল: চুলের খুসকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ম্যাস‍াজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুসকি চলে যাবে।