ঢাকা ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও কাঁচামরিচে ঝাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫
  • ৬০৪ বার

আবারও ঝাল বেড়েছে কাঁচামরিচে। দুদিন আগে বাজারভেদে যে কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, গতকাল তা ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে ঈদের প্রভাব পুরোপুরি না কাটলেও কমতে শুরু করেছিল কাঁচাপণ্যের দাম। তবে হঠাৎ করেই সপ্তাহের শুরুতে আবার দাম বাড়তে শুরু করেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পণ্য সরবরাহ কম থাকায় সব কাঁচা পণ্যেরই দাম বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০ টাকার কমে ভাল মানের কোন কাঁচা পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সবচেয়ে বেশি চড়া কাঁচামরিচের দাম। রাজধানীর কাওরানবাজার, হাতিরপুল, পান্থপথ, গার্ডেন রোড, ফার্মগেটসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পিঁয়াজ ৭০ থেকে শুরু করে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায়। অন্যান্য কাঁচা পণ্যের দাম বেশ চড়া। সবজির দামও বেড়েছে আগের চেয়ে। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। গাজরের কেজিও বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। বেগুন ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোটলের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। যার দাম দুদিন আগে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। প্রতি পিস ছোট সাইজের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। ঝিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা। করলা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁচাকলার হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা। কাকরল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটির কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শসার কেজি ৫০ টাকা। কচুমুখি প্রতি কেজি ৪০ টাকা। কচুরলতি ৫০ টাকা। মুলা ৫০ টাকা। পেপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। মসলার বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। আদার কেজি ১৪০ টাকা। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা করে। মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকা এবং চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এদিকে মাছের বাজারে আমদানি কম হওয়ার সুযোগে বিক্রেতারাও দাম হাঁকাচ্ছেন বেশি। কৈ মাছের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। বড় তেলাপিয়া ২৬০ টাকা। সরপুঁটি ৩০০ টাকা। চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা। রুই ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া মুরগির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে। দুদিন আগে বিভিন্ন প্রকার নাজিরশাইল চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা দরে। গতকাল তা ৪৬ থেকে শুরু করে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, আটাশ ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ঈদ শেষে এক সপ্তাহ পার হলেও কাঁচাপণ্যের দাম না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। পান্থপথ গার্ডেন রোড কাঁচাবাজারে তরকারি কিনতে আসা আহমেদ হোসেন বলেন, ঈদ গেছে। বন্যা গেছে। এখনও তরকারির দাম কমছে না। দাম শুধু বাড়ে। দুই একটা সবজি ছাড়া সবগুলোর দামই কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচামরিচের দাম তো জিজ্ঞেসই করা যায় না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আবারও কাঁচামরিচে ঝাল

আপডেট টাইম : ০৯:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫

আবারও ঝাল বেড়েছে কাঁচামরিচে। দুদিন আগে বাজারভেদে যে কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, গতকাল তা ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে ঈদের প্রভাব পুরোপুরি না কাটলেও কমতে শুরু করেছিল কাঁচাপণ্যের দাম। তবে হঠাৎ করেই সপ্তাহের শুরুতে আবার দাম বাড়তে শুরু করেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পণ্য সরবরাহ কম থাকায় সব কাঁচা পণ্যেরই দাম বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০ টাকার কমে ভাল মানের কোন কাঁচা পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সবচেয়ে বেশি চড়া কাঁচামরিচের দাম। রাজধানীর কাওরানবাজার, হাতিরপুল, পান্থপথ, গার্ডেন রোড, ফার্মগেটসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পিঁয়াজ ৭০ থেকে শুরু করে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায়। অন্যান্য কাঁচা পণ্যের দাম বেশ চড়া। সবজির দামও বেড়েছে আগের চেয়ে। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। গাজরের কেজিও বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। বেগুন ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোটলের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। যার দাম দুদিন আগে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। প্রতি পিস ছোট সাইজের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। ঝিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা। করলা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁচাকলার হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা। কাকরল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটির কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শসার কেজি ৫০ টাকা। কচুমুখি প্রতি কেজি ৪০ টাকা। কচুরলতি ৫০ টাকা। মুলা ৫০ টাকা। পেপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। মসলার বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। আদার কেজি ১৪০ টাকা। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা করে। মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকা এবং চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এদিকে মাছের বাজারে আমদানি কম হওয়ার সুযোগে বিক্রেতারাও দাম হাঁকাচ্ছেন বেশি। কৈ মাছের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। বড় তেলাপিয়া ২৬০ টাকা। সরপুঁটি ৩০০ টাকা। চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা। রুই ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া মুরগির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে। দুদিন আগে বিভিন্ন প্রকার নাজিরশাইল চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা দরে। গতকাল তা ৪৬ থেকে শুরু করে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, আটাশ ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ঈদ শেষে এক সপ্তাহ পার হলেও কাঁচাপণ্যের দাম না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। পান্থপথ গার্ডেন রোড কাঁচাবাজারে তরকারি কিনতে আসা আহমেদ হোসেন বলেন, ঈদ গেছে। বন্যা গেছে। এখনও তরকারির দাম কমছে না। দাম শুধু বাড়ে। দুই একটা সবজি ছাড়া সবগুলোর দামই কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচামরিচের দাম তো জিজ্ঞেসই করা যায় না।