ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইসকনের ব্যানারে আলিফকে হ/ত্যা করেছে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা: সাকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এই প্রথম যুদ্ধবিরতির পক্ষে বললেন জেলেনস্কি টাটকা রস খেতে বাগানে ভিড়, কেনা যায় বিশুদ্ধ খেজুরের গুড়ও তিন বছরেই ২৪ কোটি টাকা দুর্নীতি, দেনার ঘানি টানছে বিআরটিসি পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন: যা বাদ পড়ছে, যা যুক্ত হচ্ছে হুট করেই বিয়ে করা, ছিলনা কোন পূর্বপরিকল্পনা: কেয়া ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত, তিন বিভাগে বৃষ্টির আভাস ডিইএব-এর পিডব্লিউডি শাখার সভাপতি আনিসুজ্জামান, মহাসচিব বোরহান উদ্দিন ইতিহাসের এই দিনে ‘হাঁ-না ভোটে জিয়াউর রহমানের গণআস্থা লাভ করেন’ উত্তর গাজায় বড় বিমান হামলা ইসরায়েলের, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১০০

সিরাজদিখানে আখের বাম্পার ফলন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৩৯৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় আখের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্ষা মৌসুমেও চলছে আখ চাষ। অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষ লাভবান হওয়ায় দিন দিন কৃষকরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকছে। বিগত কয়েক বছর যাবত আখের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আখ চাষের ব্যাপকতা দেখা গেছে। উপজেলার আবিরপাড়া, দক্ষিণ তাজপুর, রশুনিয়া, হিরনের খিলগাঁও, ইছাপুরা, মধ্যপাড়া, শেখরনগর, রাজানগর, মালখানগরে আখ চাষে আগের তুলনায় অনেক চাষি এগিয়ে এসেছে আখ চাষে। এ বছর সময় মতো বৃষ্টি ভালো হওয়ায় আখ রসালো ও মোটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আখ চাষিরা।

উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর গ্রামের কৃষক মো. মিলন বলেন, তিন বছর যাবত আখ চাষ করি। গত বছর ফলন ভালো হওয়াতে এইবার তেরো গন্ডা জমিতে আখ চাষ করেছি এবং আখ চাষে প্রতি গন্ডায় খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। প্রতিবারই কিছুটা লাভ হয়। তবে গতবারের চেয়ে এবার আখের চাষ বেশি হলেও পাইকার কম। গতবছর একশত আখ বিক্রি করেছি সাত শত টাকা থেকে আট শত টাকা করে। কিন্তু এবার ছয়শত বা সাতশত করে বিক্রি করতে হচ্ছে। আলুর উত্তোলনের পরেই আখের চাষ করেছি তবে এইবার অতিরিক্ত বৃষ্টির সুবাদে ফলন কম হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিগত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে কেরাণীগঞ্জ জাজিরা থেকে আসা পাইকার মো. করিম ভান্ডারি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আখ পাইকারিদরে ক্রয় করে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। তিনি জানান ১ শত আখ আমরা এখান থেকে ৬ থেকে ৭ টাকায় কিনে ঢাকায় বিক্রি করি ১১ থেকে ১২ টাকা। সপ্তাহে দুইবার প্রায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার আখ ক্রয় করে নিয়ে যাই। তিনি আরো জানান যে সিরাজদিখান থেকে আখ ক্রয় করে ঢাকায় নিয়ে সমস্ত খরচ বাদ দিয়েও তিনি একশত আখে প্রায় দুইশত টাকা লাভ করেন। জানা যায়, সিরাজদিখানে তিন ধরনের আখ বেশি হয়। কাজলা পাশত সাতাইশ ও অমিতাভ।

পাচশ সাতাশ আখটি পাবলিকে কামড়িয়ে খায় এবং চিনি হয়।আর অমিতাভ নামের আখের রস মেশিনে রস বানিয়ে বিক্রি হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার সিরাজদিখানে আখ চাষির সংখ্যা বেড়েছে। আগে পোকার কারণে লোকসান হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে আখ চাষ করে সাফল্য পাচ্ছেন এখানকার কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, আগে কৃষকেরা ভুল পদ্ধতিতে আখ চাষ করতেন, তাই পোকার আক্রমণে তারা লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। বর্তমানে আমাদের পরামর্শে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষাবাদ করে লাভের মুখ দেখছেন তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসকনের ব্যানারে আলিফকে হ/ত্যা করেছে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা: সাকি

সিরাজদিখানে আখের বাম্পার ফলন

আপডেট টাইম : ১২:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় আখের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্ষা মৌসুমেও চলছে আখ চাষ। অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষ লাভবান হওয়ায় দিন দিন কৃষকরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকছে। বিগত কয়েক বছর যাবত আখের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আখ চাষের ব্যাপকতা দেখা গেছে। উপজেলার আবিরপাড়া, দক্ষিণ তাজপুর, রশুনিয়া, হিরনের খিলগাঁও, ইছাপুরা, মধ্যপাড়া, শেখরনগর, রাজানগর, মালখানগরে আখ চাষে আগের তুলনায় অনেক চাষি এগিয়ে এসেছে আখ চাষে। এ বছর সময় মতো বৃষ্টি ভালো হওয়ায় আখ রসালো ও মোটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আখ চাষিরা।

উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর গ্রামের কৃষক মো. মিলন বলেন, তিন বছর যাবত আখ চাষ করি। গত বছর ফলন ভালো হওয়াতে এইবার তেরো গন্ডা জমিতে আখ চাষ করেছি এবং আখ চাষে প্রতি গন্ডায় খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। প্রতিবারই কিছুটা লাভ হয়। তবে গতবারের চেয়ে এবার আখের চাষ বেশি হলেও পাইকার কম। গতবছর একশত আখ বিক্রি করেছি সাত শত টাকা থেকে আট শত টাকা করে। কিন্তু এবার ছয়শত বা সাতশত করে বিক্রি করতে হচ্ছে। আলুর উত্তোলনের পরেই আখের চাষ করেছি তবে এইবার অতিরিক্ত বৃষ্টির সুবাদে ফলন কম হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিগত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে কেরাণীগঞ্জ জাজিরা থেকে আসা পাইকার মো. করিম ভান্ডারি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আখ পাইকারিদরে ক্রয় করে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। তিনি জানান ১ শত আখ আমরা এখান থেকে ৬ থেকে ৭ টাকায় কিনে ঢাকায় বিক্রি করি ১১ থেকে ১২ টাকা। সপ্তাহে দুইবার প্রায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার আখ ক্রয় করে নিয়ে যাই। তিনি আরো জানান যে সিরাজদিখান থেকে আখ ক্রয় করে ঢাকায় নিয়ে সমস্ত খরচ বাদ দিয়েও তিনি একশত আখে প্রায় দুইশত টাকা লাভ করেন। জানা যায়, সিরাজদিখানে তিন ধরনের আখ বেশি হয়। কাজলা পাশত সাতাইশ ও অমিতাভ।

পাচশ সাতাশ আখটি পাবলিকে কামড়িয়ে খায় এবং চিনি হয়।আর অমিতাভ নামের আখের রস মেশিনে রস বানিয়ে বিক্রি হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার সিরাজদিখানে আখ চাষির সংখ্যা বেড়েছে। আগে পোকার কারণে লোকসান হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে আখ চাষ করে সাফল্য পাচ্ছেন এখানকার কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, আগে কৃষকেরা ভুল পদ্ধতিতে আখ চাষ করতেন, তাই পোকার আক্রমণে তারা লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। বর্তমানে আমাদের পরামর্শে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষাবাদ করে লাভের মুখ দেখছেন তারা।