ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলন বিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান বীজতলা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৮
  • ৩৪৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলন বিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান বীজতলা। খাল-বিল ও নদীতে এ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এ বীজতলা। উপজেলার বালুভরা, চৌগ্রাম, হুলহুলিয়া, পাকুরিয়া, ডাহিয়া,ইটালীসহ ২৪ টি স্থানে ভাসমান বীজতলা তৈরি হয়েছে।

সরেজমিনে সিংড়া পৌরসভার পাটকোল বিলে গিয়ে দেখা যায়, ৮ জন কৃষক সম্মিলিতভাবে বীজতলা তৈরি করেছেন। কৃষক সিরাজুল ইসলাম স্বপন জানান, প্রথমে পানিতে কলার ভুরা দিয়ে বেঁধে তারপর উপরে কচুরিপনা  দিয়ে গ্যাপ পূরণ করার পর মাটি সমান করে বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। ১৫ থেকে ২০ দিনে চারা পরিপূর্ণতা লাভ করে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এবারই প্রথম চলনবিল সিংড়া এলাকায় এ বীজতলা তৈরি করা হয়। মূলত হাওর এলাকায় ভাসমান বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বীজ সংকট মেটায়। গত বছর আগাম বন্যায় চলনবিলসহ সিংড়া এলাকায় ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বন্যা পরবর্তী ৩৪ ধানের রোপা আমন আবাদ করলে কৃষকরা লাভবান হতে পারে। বিশেষ করে এই চারা রোপনে ফলন ভালো হয়। দামও বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, সিংড়া উপজেলার ২৪টি স্থানে সরকারি সহায়তায় এ ধরনের উদ্দ্যেগ নেয়া হয়েছে। এজন্য তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে বলে জানান।

তিনি আরো বলেন, এধরনের চারা আপদকালীন চারা হিসেবে কৃষকদের কাজে লাগবে। প্রতিটি স্থানে এ বছর পরীক্ষামূলক ভাবে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২০ দিনে পরিপূর্ণ চারা তৈরি হয় এবং রোপনের উপযুক্ত হয়। এতে করে কৃষকদের মাঝে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

চলন বিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান বীজতলা

আপডেট টাইম : ১০:৫০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলন বিলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান বীজতলা। খাল-বিল ও নদীতে এ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এ বীজতলা। উপজেলার বালুভরা, চৌগ্রাম, হুলহুলিয়া, পাকুরিয়া, ডাহিয়া,ইটালীসহ ২৪ টি স্থানে ভাসমান বীজতলা তৈরি হয়েছে।

সরেজমিনে সিংড়া পৌরসভার পাটকোল বিলে গিয়ে দেখা যায়, ৮ জন কৃষক সম্মিলিতভাবে বীজতলা তৈরি করেছেন। কৃষক সিরাজুল ইসলাম স্বপন জানান, প্রথমে পানিতে কলার ভুরা দিয়ে বেঁধে তারপর উপরে কচুরিপনা  দিয়ে গ্যাপ পূরণ করার পর মাটি সমান করে বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। ১৫ থেকে ২০ দিনে চারা পরিপূর্ণতা লাভ করে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এবারই প্রথম চলনবিল সিংড়া এলাকায় এ বীজতলা তৈরি করা হয়। মূলত হাওর এলাকায় ভাসমান বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বীজ সংকট মেটায়। গত বছর আগাম বন্যায় চলনবিলসহ সিংড়া এলাকায় ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বন্যা পরবর্তী ৩৪ ধানের রোপা আমন আবাদ করলে কৃষকরা লাভবান হতে পারে। বিশেষ করে এই চারা রোপনে ফলন ভালো হয়। দামও বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, সিংড়া উপজেলার ২৪টি স্থানে সরকারি সহায়তায় এ ধরনের উদ্দ্যেগ নেয়া হয়েছে। এজন্য তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে বলে জানান।

তিনি আরো বলেন, এধরনের চারা আপদকালীন চারা হিসেবে কৃষকদের কাজে লাগবে। প্রতিটি স্থানে এ বছর পরীক্ষামূলক ভাবে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২০ দিনে পরিপূর্ণ চারা তৈরি হয় এবং রোপনের উপযুক্ত হয়। এতে করে কৃষকদের মাঝে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।