হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার প্রথম দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে খেলছেন না লিওনেল মেসি। সেটিকে ‘সাময়িক অবসর’ বা ‘বিশ্রাম’ যেভাবেই বলা হোক না কেন তাতে আলবিসেলেস্তের জার্সি গায়ে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হচ্ছে না। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া অবশ্য মনে করেন এই সময়টায় মেসি জাতীয় দল নিয়ে ভাববার সময় পেয়েছেন, ‘আমরা তাকে এই সময়টায় একা করে দিচ্ছি যেন সে জাতীয় দলের প্রয়োজনীয়তা ও ফেরার তাড়াটা অনুভব করতে পারে।’
এর আগে বিশ্বকাপসহ টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকার ফাইনাল হারের হতাশায় অবসরই নিয়ে ফেলেছিলেন মেসি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মধ্যেই তিনি আবার দলে ফিরেছেন এবং খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করে আলবিসেলেস্তের নিয়ে গেছেন রাশিয়ায়। সেখানেও অবশ্য দলের ভঙ্গুর চেহারাটা বদলায়নি, তারই ফলে হতাশা নিয়ে এবার শেষ ষোলো থেকেই বিদায়।
টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগেই মেসি জানিয়ে গিয়েছিলেন ‘এবার, নয়তো কখনোই নয়।’ বিশ্বকাপ শেষে আর্জেন্টিনাইন তারকার অবসরের গুঞ্জনটা তাই প্রবল হয়। মেসি মুখ না খোলায় সেই গুঞ্জন জোর হাওয়াও পাচ্ছে। তবে তাপিয়া মনে করেন আর্জেন্টিনার ব্যর্থতায় এককভাবে মেসিকে দায়ী করাটা অন্যায়, ‘মেসির মতো একজন প্রতিভার সুবিধা নেওয়ার বদলে আমরা ওকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে চাপের মুখে ঠেলে দিয়েছিলাম। কিন্তু একা কেউ তো ম্যাচ বা বিশ্বকাপ জেতাতে পারে না।’
বিশ্বকাপ শেষে কোচ হোর্হে সাম্পাওলির সঙ্গে অবশ্য সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলেছে এএফএ। আপৎকালীন হিসেবে সাবেক খেলোয়াড় লিওনেল স্কালোনি ও পাবলো আইমার পেয়েছেন দায়িত্ব। তাপিয়া জানিয়েছেন স্থায়ী কোচ নিয়োগেও ভাবনার সময় নিচ্ছেন তাঁরা, ‘২০১৯-এর আগে স্থায়ী কোচ নিয়োগের তাড়া নেই আমাদের। আমরা ভেবেচিন্তে এগোচ্ছি। ১০ বছর মেয়াদি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে, জাতীয় দল কমিটিতে কারা থাকবে—এটাও ঠিক করা হবে এর মধ্যে। এর পরই আমরা কোচ নির্বাচন করব।