পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা।
নতুন সংবিধান ও নেপালের ওপর ভারতের আর্থিক অবরোধের কারণে জটিলতা সৃষ্টির পর এ ঘোষণা দিলেন তিনি।
শুক্রবার এ পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
কৈরালা জানান, রাষ্ট্রপতি রাম বরন যাদবের কাছে শিগগিরই পদত্যাগ পত্র পাঠাবেন তিনি। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের উপায় হিসাবে তিনি এ পদত্যাগ করছেন বলে জানান।
নেপালের নতুন সংবিধান পার্লামেন্টে গৃহীত হওয়ার পর থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালাচ্ছে তরাই অঞ্চলের মদেশি ও থারু সম্প্রদায়৷
অন্যদিকে ভারত নেপালের ওপর আর্থিক অবরোধ দিয়েছে এ অভিযোগে প্রচণ্ড বিক্ষোভ করতে থাকে দেশটির জনগণ। রাজনৈতিকদলের ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি প্রতি দিনই ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে৷
নেপালের প্রয়োজনীয় পণ্যের শতকরা ৭০ ভাগ আসে ভারত থেকেই৷
এই পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভারতের তীব্র সমালোচনা করে ইউএমএল নেতা কে পি ওলি বলেন , ‘রান্নার গ্যাস নেই, আনাজ, জ্বালানিও বেপাত্তা৷ ভারতের সঙ্গে এমন বন্ধুত্ব আমাদের দরকার নেই৷’
গত বুধবার কাঠমান্ডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রায় জানান, নেপালের উপর ভারত কোনো ‘আর্থিক অবরোধ’ চাপায়নি৷ এর পাশাপাশি নেপালে ক্রমবর্ধমান ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ, মোদির কুশপুত্তলিকা ওভারতের জাতীয় পতাকা পোড়ানো নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এতে কোনো দেশেরই উপকার হবে না৷’
রায় আরও বলেছিলেন, ‘নতুন সংবিধান নিয়েসমস্যা নেপালের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার৷ মদেশি সম্প্রদায় ও নেপাল সরকারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সুরাহা হতে পারে৷ আমরা শুধু চাই এই নতুন সংবিধান সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক৷ এই প্রক্রিয়ায় কেউ যেন বাদ না পড়েন৷
উল্লেখ্য, নেপালের কংগ্রেস দলের নেতা কৈরালা ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন।