হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবার কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই। স্পেনের রেডিও স্টেশন ‘ওন্দা সেরো’র রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকেই। উয়েফার ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি তদন্তের শেষে পিএসজির আর্থিক বেনিয়মের জন্য শাস্তির পথে হাঁটে তাহলে ক্লাবটিকে ছেড়ে দিতে হতে পারে নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপ্পের যেকোন একজনকে।
এছাড়া ওন্দা সেরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, উয়েফার অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার শাস্তি কার্যকর হলে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তৈরি রিয়াল মাদ্রিদ, মোনাকো, বার্সেলোনা। নেইমারের জন্য প্রস্তুত করতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ। মোনাকো তাদের পুরোনো তারকা এমবাপ্পেকে নিতে তৎপর হবে। বার্সেলোনার ভূমিকা আপাতত দর্শকের।
এদিকে, ফিনান্সিয়াল ফেয়ার (প্লে এফএফপি) কথায়, ফুটবলার কেনা-বেচার ক্ষেত্রে আর্থিক নিয়ম মেনে চলা, যাতে কোন ক্লাব অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে বাড়তি সুবিধা না নিতে পারে। এই নিয়মের দিকে চোখ রেখে সব সময় পা ফেলতে হয় ম্যানচেস্টার সিটি, কখনও পিএসজি, কখনও রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার মতো ধনী ক্লাবগুলোকে।
উল্লেক্য, গত বছর নেইমারের জন্য বার্সেলোনাকে ২২ কোটি ২০ লক্ষ ইউরো ট্রান্সফার মূল্য দিয়েছিল পিএসজি। তারপর মোনাকো থেকে এমবাপ্পেকে নিতে আইনের ফাঁক খুঁজে বের করেছিল পিএসজি কর্তারা। গত বছরেই এমবাপ্পেকে তারা নিয়েছিল লোনে। কিন্তু একটি শর্ত চুক্তিতে রাখা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এখন লোনে নিলেও পরে পাকাপাকি ভাবে এমবাপেকে কিনে নেওয়ার ‘অপশন’ আছে। সেখানে ট্রান্সফার মূল্য উল্লেখ ছিল ১৮ কোটি ইউরো।
সেই সময় পিএসজি ঘোষণা করেনি, তারা এমবাপ্পের সঙ্গে পাকাপাকি চুক্তি করছে। তাহলে সেই বছরের অ্যাকউন্টেই ১৮ কোটি ইউরো ট্রান্সফার মূল্যের হিসেব ঢুকে যেত। সরাসরি আর্থিক বেনিয়মের খাতায় চলে যেত তাদের বার্ষিক হিসাব। এখন যা পরিস্থিতি তাতে এফএফপি নিয়ে পিএসজির বিরুদ্ধে তদন্তে যদি তারা দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে কোপ পড়বে এই দুই তারকার যেকোন যে একজনের উপর। নেইমারকে বিক্রি করতে হতে পারে। অথবা, এমবাপ্পের সঙ্গে যে লোন চলছে, তা বাতিল করতে হতে পারে।