আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে জাতীয় পতাকা হাতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অর্জন গোটা জাতির অর্জন। এটা কোনো দলের একক অর্জন নয়। তাই সকলকে দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর অনুরোধ করছি।’
নাসিম শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সাথে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সংস্কৃতি কর্মী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, নারী সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ এবং তথ্য প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শনিবার এ সংবর্ধনা দেয়া হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে শনিবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
লন্ডন থেকে ঢাকা ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতি করবেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা ১৪ দল মনে করি, এই সংবর্ধনায় জনতার ঢল নামবে। এটা হবে আওয়ামী লীগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।’
তিনি বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো, ঢাকাবাসী ও দেশবাসীকে- ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে আসুন সবাই একত্রিত হয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা এবং অভিনন্দন জানাই। প্রধানমন্ত্রীর এ অর্জন দেশ ও জাতির জন্য গৌরবের।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ধরিত্রী কন্যা’ আখ্যায়িত করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর হলেও তারা এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসছে না।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশগুলোকে সাথে নিয়ে এই দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমরা জনতার ঢল নামিয়ে বিএনপি জামায়াত ও তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুদের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে চাই।
এ সময় তিনি দল মত নির্বিশেষে সকলকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল করতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত ৮টি রুটে বিভক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদসদের নেতৃত্বে ১৪ দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এসব রুটে দাঁড়িয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
এছাড়া ১৪ দল ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্পটে দাঁড়াবেন।
বৈঠক থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সবাইকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তবে সেখানে কারো ব্যক্তিগত ছবি থাকবে না। ছবি থাকবে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আর রাস্তার দুই পাশ থেকে ফুলের পাপড়ি ছিটাতে বলা হয়েছে।
মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শিল্প সম্পাদক আবদুস সত্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ফেড়ারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নুরুর রহমান সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস