ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগ্ন সুন্দরীদের বাধাহীন মিছিল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০১৫
  • ২৮৭ বার

সমুদ্র-মরুভূমি-পাহাড়-রোম্যাণ্টিক নির্জনতা। এবং স্বল্পবাস সুদর্শনা। এইসব নিয়েই তো সান ফ্রান্সিসকো।
সেখানে পুলিশ ফতোয়া দিয়েছিল সুন্দরীদের নগ্ন মিছিলের বিরু‌দ্ধে।
কিন্তু আইন দাঁড়াল সুন্দরীদের সঙ্গে–আইন বলল তোমাদের নগ্নতা তো উৎসব। উৎসবের বিরুদ্ধে কেন ফতোয়া? মার্কিন সংগঠনটির নাম ‘জিপসি দুয়াব’। এই সংগঠনের সদস্যারা ঠিক করলেন তাঁরা পদযাত্রায় বেরোবেন। বেরোতেই পারেন।
কিন্তু এই পদযাত্রা যে-সে পদযাত্রা নয়। সদস্যাদের গায়ে একটি সুতোও থাকবে না।
কিন্তু একশোজন সুন্দরী একেবারে কিছু না পরে রাস্তায় পদযাত্রা করলে সেই তোলপাড়কে নিয়ন্ত্রণ করবে কী করে পুলিশ? পুলিশ নিজেই যে দিশেহারা সেই প্রবল নগ্নতার প্লাবনে।
কেন সুন্দরীদের এই বস্ত্রহীন পদযাত্রা?
শরীরের অধিকার চাই–তা-ই আমরা নগ্ন, বলছে সুন্দরীরা।
কোনও পোস্টার নয়, কোনও প্রচার নয়, শুধু আমাদের বিশু নগ্নতাই আমাদের একমাত্র প্রচারমাধ্যম–সুন্দরীদের মোক্ষম ব্যাখ্যা!
সংগঠনের পথের কাঁটা হতে যাচ্ছিল ১৯১৩ সালের একটি অর্ডিন্যান্স। সেই অর্ডিন্যান্স অনুসারে সান ফ্রান্সিসকোর মাত্র কয়েকটি জায়গাতেই নগ্ন মিছিল হতে পারে! নগ্নতায় বাধা? কখনও চলবে না। শরীর দেখা ও দেখানোর মতো শুরি পথে বাধা দিচ্ছে আইন?
এ কেমন কথা?
আদালতে গেল সুন্দরীদের সংস্থা। সুন্দরীদের সংগঠনের জন্যে সওয়াল করলেন স্বয়ং অ্যাটর্নি জেনারেল।
এবং বিচারপতি রিচার্ড সিবর্ন ঘোষণা করলেন দ্বিধাহীন কণ্ঠে–নগ্ন মিছিলে কোনও বাধা নেই, সিভিক সেণ্টার পর্যন্ত চলুক এই দ্বিধাহীন নগ্নতা!
আইন ও প্রশাসনের কোনও অধিকার নেই শরীরের এই অধিকারকে বাধা দেওয়ার!
জয় জয় জিপসি সুন্দরীদের!
তারা ১৭ অক্টোবর তাদের নগ্নতার এই জয়কে সেলিব্রেট করার জন্য একটি পার্টি দিচ্ছে।
আমন্ত্রণপত্রে বলা হচ্ছে, প্লিজ, কোনও পোশাক পরে আসবেন না। একটি সুতোও নয় কিন্তু।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নগ্ন সুন্দরীদের বাধাহীন মিছিল

আপডেট টাইম : ১১:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০১৫

সমুদ্র-মরুভূমি-পাহাড়-রোম্যাণ্টিক নির্জনতা। এবং স্বল্পবাস সুদর্শনা। এইসব নিয়েই তো সান ফ্রান্সিসকো।
সেখানে পুলিশ ফতোয়া দিয়েছিল সুন্দরীদের নগ্ন মিছিলের বিরু‌দ্ধে।
কিন্তু আইন দাঁড়াল সুন্দরীদের সঙ্গে–আইন বলল তোমাদের নগ্নতা তো উৎসব। উৎসবের বিরুদ্ধে কেন ফতোয়া? মার্কিন সংগঠনটির নাম ‘জিপসি দুয়াব’। এই সংগঠনের সদস্যারা ঠিক করলেন তাঁরা পদযাত্রায় বেরোবেন। বেরোতেই পারেন।
কিন্তু এই পদযাত্রা যে-সে পদযাত্রা নয়। সদস্যাদের গায়ে একটি সুতোও থাকবে না।
কিন্তু একশোজন সুন্দরী একেবারে কিছু না পরে রাস্তায় পদযাত্রা করলে সেই তোলপাড়কে নিয়ন্ত্রণ করবে কী করে পুলিশ? পুলিশ নিজেই যে দিশেহারা সেই প্রবল নগ্নতার প্লাবনে।
কেন সুন্দরীদের এই বস্ত্রহীন পদযাত্রা?
শরীরের অধিকার চাই–তা-ই আমরা নগ্ন, বলছে সুন্দরীরা।
কোনও পোস্টার নয়, কোনও প্রচার নয়, শুধু আমাদের বিশু নগ্নতাই আমাদের একমাত্র প্রচারমাধ্যম–সুন্দরীদের মোক্ষম ব্যাখ্যা!
সংগঠনের পথের কাঁটা হতে যাচ্ছিল ১৯১৩ সালের একটি অর্ডিন্যান্স। সেই অর্ডিন্যান্স অনুসারে সান ফ্রান্সিসকোর মাত্র কয়েকটি জায়গাতেই নগ্ন মিছিল হতে পারে! নগ্নতায় বাধা? কখনও চলবে না। শরীর দেখা ও দেখানোর মতো শুরি পথে বাধা দিচ্ছে আইন?
এ কেমন কথা?
আদালতে গেল সুন্দরীদের সংস্থা। সুন্দরীদের সংগঠনের জন্যে সওয়াল করলেন স্বয়ং অ্যাটর্নি জেনারেল।
এবং বিচারপতি রিচার্ড সিবর্ন ঘোষণা করলেন দ্বিধাহীন কণ্ঠে–নগ্ন মিছিলে কোনও বাধা নেই, সিভিক সেণ্টার পর্যন্ত চলুক এই দ্বিধাহীন নগ্নতা!
আইন ও প্রশাসনের কোনও অধিকার নেই শরীরের এই অধিকারকে বাধা দেওয়ার!
জয় জয় জিপসি সুন্দরীদের!
তারা ১৭ অক্টোবর তাদের নগ্নতার এই জয়কে সেলিব্রেট করার জন্য একটি পার্টি দিচ্ছে।
আমন্ত্রণপত্রে বলা হচ্ছে, প্লিজ, কোনও পোশাক পরে আসবেন না। একটি সুতোও নয় কিন্তু।