ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নান্দাইলে আমন চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৮
  • ৩২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দীর্ঘদিন খরা শেষে গত সপ্তাহ থেকে ভারি বৃষ্টিপাতে উপজেলার ১২ ইউনিয়নে কৃষকরা আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে তীব্র খরায় আমন আবাদ হুমকির মুখে পড়েছিল। অত্যধিক তাপমাত্রায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল বিজতলা। বৃষ্টির অভাবে জমিতে পানি না থাকায় ভরা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারছিলনা কৃষক। এমন অবস্থায় গত আট-দশ ধরে মুষল ধারে বৃষ্টি হয়। স্বস্তি ফিরে পায় কৃষক।

সরজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা জমি প্রস্তুত করে আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে। বৃষ্টির পানিতে জমিগুলো ভরে গেছে। মুশুলী ইউনিয়নের পালাহার গ্রামের কৃষক সুলতান উদ্দিন জানান, বোরো চাষ অনেক ব্যয় বহুল তাই বোরো চাষ থেকে আমন চাষে তাঁর আগ্রহ বেশি। আমন ফসলের ফলনে প্রায় সারা বছর খোরাকি রেখে উদৃত্ত ধান বিক্রি করা যায়। বালুয়াকান্দা গ্রামের আসন মিয়া বলেন, তিনি বিগত মৌসুমে নিচু জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন।

কিন্তু বৃষ্টিপাতের কারণে আগামপানি এসে পড়ায় ধান ঘরে তুলতে পারেননি। এখন তিনি আমন চাষ করছেন। বছরের খোরাকির জন্য আমন ফলনের ওপর তিনি ভরসা করছেন। আরও কয়েকজন কৃষক জানান, এ বছর শ্রমিকের সংকট রয়েছে। তাই আমন চাষে বিঘ ঘটছে। এ সুযোগে মজুরি বেড়ে গেছে। ফলে জমি আবাদে খরচ বেশি পড়ছে। ভরা মৌসুমে শ্রমিকের মুজুরি বেশি নেওয়ার কারণে জমিতে খরচও বেশি পরে। এই বিষয়ে শ্রমিকরা জানায় কাজের চাহিদা থাকায় কিছুটা মুজুরি বেশি। তবে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সাথে মুজুরির মূল্য কিছুটা বেড়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, চলতি বছর উপজেলায় ১২ ইউনিয়নে ২২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সঠিক সময়ে সার, বীজ ও কিটনাষক সরবরাহ করায় এ বছর আমনের ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নান্দাইলে আমন চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৩:৫৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দীর্ঘদিন খরা শেষে গত সপ্তাহ থেকে ভারি বৃষ্টিপাতে উপজেলার ১২ ইউনিয়নে কৃষকরা আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে তীব্র খরায় আমন আবাদ হুমকির মুখে পড়েছিল। অত্যধিক তাপমাত্রায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল বিজতলা। বৃষ্টির অভাবে জমিতে পানি না থাকায় ভরা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারছিলনা কৃষক। এমন অবস্থায় গত আট-দশ ধরে মুষল ধারে বৃষ্টি হয়। স্বস্তি ফিরে পায় কৃষক।

সরজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা জমি প্রস্তুত করে আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে। বৃষ্টির পানিতে জমিগুলো ভরে গেছে। মুশুলী ইউনিয়নের পালাহার গ্রামের কৃষক সুলতান উদ্দিন জানান, বোরো চাষ অনেক ব্যয় বহুল তাই বোরো চাষ থেকে আমন চাষে তাঁর আগ্রহ বেশি। আমন ফসলের ফলনে প্রায় সারা বছর খোরাকি রেখে উদৃত্ত ধান বিক্রি করা যায়। বালুয়াকান্দা গ্রামের আসন মিয়া বলেন, তিনি বিগত মৌসুমে নিচু জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন।

কিন্তু বৃষ্টিপাতের কারণে আগামপানি এসে পড়ায় ধান ঘরে তুলতে পারেননি। এখন তিনি আমন চাষ করছেন। বছরের খোরাকির জন্য আমন ফলনের ওপর তিনি ভরসা করছেন। আরও কয়েকজন কৃষক জানান, এ বছর শ্রমিকের সংকট রয়েছে। তাই আমন চাষে বিঘ ঘটছে। এ সুযোগে মজুরি বেড়ে গেছে। ফলে জমি আবাদে খরচ বেশি পড়ছে। ভরা মৌসুমে শ্রমিকের মুজুরি বেশি নেওয়ার কারণে জমিতে খরচও বেশি পরে। এই বিষয়ে শ্রমিকরা জানায় কাজের চাহিদা থাকায় কিছুটা মুজুরি বেশি। তবে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সাথে মুজুরির মূল্য কিছুটা বেড়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, চলতি বছর উপজেলায় ১২ ইউনিয়নে ২২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সঠিক সময়ে সার, বীজ ও কিটনাষক সরবরাহ করায় এ বছর আমনের ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।