হাওর বার্তা ডেস্কঃ মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ফের দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষ্য নিয়ে ভুটান গেছেন মারিয়া মান্ডারা। আজ প্রথম দিনেই তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচটি শুরু হবে। মাত্র আট মাসের ব্যবধানে একই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বার খেলতে নামছেন মারিয়া, আঁখি, মনিকারা। গত ডিসেম্বরে ঢাকার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ প্রমীলা ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে বাংলাদেশের কিশোরীরা হারিয়েছিল ভারতকে।
এবার ভুটান মিশন। থিম্পুর আবহাওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। সেখানে বেশ ঠাণ্ডা। তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। থেমে থেমে বৃষ্টিও হচ্ছে। তবে এর মধ্যে স্থানীয় কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন মনিকা, তহুরারা।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সিনিয়র পর্যায়ে একাধিকবার মুখোমুখি হলেও কিশোরীদের দেখা এবারই প্রথম। ফেভারিট হিসেবে পাকিস্তানকে হারিয়েই শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করতে চায় মারিয়া মান্ডারা।
থিম্পুতে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এমনটাই জানালেন। তার কথায়, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত আমরা। সাত মাস ধরে মেয়েরা যে কঠোর অনুশীলন করছে, তা এবার দেখানোর পালা। মানসিক ও শারীরিকভাবে সবাই সুস্থ আছে। জিততে মুখিয়ে আছে ওরা। শুধু পাকিস্তানই নয়, টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া বাকি পাঁচটি দেশই শক্তিশালী। আমরা প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। আমাদের মেয়েরা জানে কীভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হয়। ক’মাস আগেই তারা হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হকি কাপে শিরোপা জিতে এসেছে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা বলেন, ‘আমরা এখানে চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছি। কঠিন পরিশ্রম করেছি। আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে, পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা জিতব। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। সবাই জেতার জন্যই মাঠে নামবে।’
স্ট্রাইকার তহুরার কথা, ‘আমি গোল করতে চাই এবং জিততে চাই। নিজেদের সেরাটা দিয়ে।’
অন্যদিকে পাকিস্তানের কোচ মোহাম্মদ রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ দল। তারা এই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। যদিও আমরা নতুন দল এবং প্রথমবার এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছি, তবে জেতার জন্যই নামব আমরা।’
গত ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আসরে নেপালকে ৬-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে এবং একই ব্যবধানে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় স্বাগতিকরা। আর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মারিয়া-আঁখিরা।