ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাড়ক্ষয় রোধ করে ঢেঁড়স

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অগাস্ট ২০১৮
  • ৩৫৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের দেশের বর্ষাকালীন সবজির মধ্যে ঢেঁড়স একটি উল্লেখযোগ্য সবজি।

ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও ভিটামিন এ, বি, সি। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যারোটিন, ফলিক এসিড, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অক্সালিক এসিড এবং অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড।

ঢেঁড়সের রিবোফ্লাভিনের পরিমাণ বেগুন, মূলা, টমেটো ও শিমের চেয়েও বেশি। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এটি খাওয়া ভালো।

আসুন জেনে নেয়া যাক ঢেঁড়সের আরও গুণাগুণ সম্পর্কে:

ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা

ঢেঁড়সের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানবদেহের কোষের মিউটেশন প্রতিরোধ করে। সেই সাথে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যা ডিকেল দূর করে থাকে। এতে করে দেহে ক্যান্সারের কোষ জন্মাতে পারে না। নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে পারে।

হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে

বৃদ্ধ বয়সী মানুষের একটি সাধারণ রোগ হলো হাড়ের ক্ষয় রোগ। হাড়ের ক্ষয়ের কারণে শরীরে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হয়। বিশেষ করে হাটুতে ব্যথা অনুভব করার কারণে হাটা-চলা করতে বিশেষ সমস্যা হয়। এই সমস্যা প্রতিরোধে আপনার খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স রাখতে পারেন। ঢেঁড়সে বিদ্যমান ফোলায়েট উপাদান হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

ঢেঁড়সে ইনসুলিনের মতো উপাদান রয়েছে যা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে যাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।

রক্তস্বল্পতা দূর করে

দেহে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে ঢেঁড়স। এতে করে অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তস্বল্পতা দূর করে। নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে মুক্তি

ঢেঁড়সে রয়েছে স্যলুবল ফাইবার যা দেহের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মাতৃত্বকালীন শারীরিক সমস্যায়

মাতৃত্বকালীন নানা ধরনের সমস্যা সমাধানে ঢেঁড়স কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন গর্ভকালীন সময়ে ফেটুসের নিউরাল টিউব ডিফেক্ট দূর করতে ঢেঁড়স কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

অ্যাজমা প্রতিরোধে

ঢেঁড়সের রয়েছে ভিটামিন সি ও এ উপাদান। এগুলো অ্যাজমার প্রকোপ কমায় এবং অ্যাজমা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের অ্যাজমা সমস্যা রয়েছে তারা বেশি বেশি ঢেঁড়স খেলে বেশ ভালো ফল পেতে পারেন। ঢেঁড়সের ভিটামিন এ এবং সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এতে করে নানা ধরণের ছোটোখাটো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়

ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, লুটেইন ও বিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের দূর করতে

ঢেঁড়সের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। আপনারা যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা তাদের খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স রাখতে পারেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাড়ক্ষয় রোধ করে ঢেঁড়স

আপডেট টাইম : ০৫:০৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের দেশের বর্ষাকালীন সবজির মধ্যে ঢেঁড়স একটি উল্লেখযোগ্য সবজি।

ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও ভিটামিন এ, বি, সি। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যারোটিন, ফলিক এসিড, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অক্সালিক এসিড এবং অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড।

ঢেঁড়সের রিবোফ্লাভিনের পরিমাণ বেগুন, মূলা, টমেটো ও শিমের চেয়েও বেশি। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এটি খাওয়া ভালো।

আসুন জেনে নেয়া যাক ঢেঁড়সের আরও গুণাগুণ সম্পর্কে:

ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা

ঢেঁড়সের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানবদেহের কোষের মিউটেশন প্রতিরোধ করে। সেই সাথে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যা ডিকেল দূর করে থাকে। এতে করে দেহে ক্যান্সারের কোষ জন্মাতে পারে না। নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে পারে।

হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে

বৃদ্ধ বয়সী মানুষের একটি সাধারণ রোগ হলো হাড়ের ক্ষয় রোগ। হাড়ের ক্ষয়ের কারণে শরীরে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হয়। বিশেষ করে হাটুতে ব্যথা অনুভব করার কারণে হাটা-চলা করতে বিশেষ সমস্যা হয়। এই সমস্যা প্রতিরোধে আপনার খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স রাখতে পারেন। ঢেঁড়সে বিদ্যমান ফোলায়েট উপাদান হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

ঢেঁড়সে ইনসুলিনের মতো উপাদান রয়েছে যা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে যাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।

রক্তস্বল্পতা দূর করে

দেহে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে ঢেঁড়স। এতে করে অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তস্বল্পতা দূর করে। নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে মুক্তি

ঢেঁড়সে রয়েছে স্যলুবল ফাইবার যা দেহের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মাতৃত্বকালীন শারীরিক সমস্যায়

মাতৃত্বকালীন নানা ধরনের সমস্যা সমাধানে ঢেঁড়স কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন গর্ভকালীন সময়ে ফেটুসের নিউরাল টিউব ডিফেক্ট দূর করতে ঢেঁড়স কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

অ্যাজমা প্রতিরোধে

ঢেঁড়সের রয়েছে ভিটামিন সি ও এ উপাদান। এগুলো অ্যাজমার প্রকোপ কমায় এবং অ্যাজমা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের অ্যাজমা সমস্যা রয়েছে তারা বেশি বেশি ঢেঁড়স খেলে বেশ ভালো ফল পেতে পারেন। ঢেঁড়সের ভিটামিন এ এবং সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এতে করে নানা ধরণের ছোটোখাটো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়

ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, লুটেইন ও বিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের দূর করতে

ঢেঁড়সের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। আপনারা যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা তাদের খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স রাখতে পারেন।