হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুরো ওয়ানডে সিরিজে দারুণ খেলেছেন তামিম ইকবাল। তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি আর এক ফিফটি। এটাকে তো দারুণ বলতেই। তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তামিমের ওপর দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু শুন্য রানে আউট হয়ে বাঁ-হাতি ওপেনার প্রত্যাশা মেটাতে পারলেন না।
তাঁর মতো আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও ব্যর্থ। তাঁকে শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্যই ক্যারিবীয় দ্বীপে উড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। তামিমের মতো তিনিও ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই।
ইনিংসের প্রথম বলেই অ্যাশলে নার্সকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু বল মিস করে হয়ে যান স্টাম্পড। দুই বল পরেই সেই নার্সের বলেই বোল্ড সৌম্য। ৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন কাঁপছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তামিম বা সৌম্য কাউকে কাঠগড়ায় তুললেন না, ‘ওদের চিন্তাভাবনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। টি-টোয়েন্টিতে সবাই ইতিবাচক থাকবে এবং রান করার চেষ্টাই করবে ইনিংসের শুরু থেকে। সবাই সে চেষ্টাই করেছে। এভাবে উইকেট না হারিয়ে কীভাবে রান করব, সেটিই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। ১১ ওভারে আমাদের যে ১০০ ছিল, সেটা যদি ৫ উইকেটে না হয়ে ২ উইকেটে হতো তাহলে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি হতো যেখানে ১৯০/২০০ করার মতো একটা অবস্থায় আমরা যেতে পারতাম।’
১২ ওভারে যাদের রান ছিল ৫ উইকেটে ১০০, তারাই পরের ৪৮ বলে তুলতে পেরেছে ৪৩ রান। কেন বড় স্কোর হলো না? সব দায় নিজের কাঁধে নিলেন সাকিব,‘ প্রথম ওভারে ২ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। আমি আর লিটন ব্যাটিং করছিলাম। ২-৪ ওভার খেললে উইকেট সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। সবাই ভালো শুরু পেয়েছি কিন্তু বড় স্কোর পাইনি। এটাই সবচেয়ে হতাশার দিক। অন্য দলে দেখা যায় শীর্ষ তিন বা চারে একটা বড় ইনিংস খেলে, যেটা আমাদের খুব দরকার পরের দুই ম্যাচে।’
পরের দুটি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে বাংলাদেশের অনেক দর্শক হাজির হবেন। এটা নিশ্চয় বাংলাদেশ দলকে অনুপ্রাণিত করবে। সাকিবও শোনালেন আশার কথা, ‘সেখানে আমাদের অনেক দর্শক থাকবে। দর্শকদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত। যদিও একটা সফরের শেষ পর্যায়ে নিজেদের উদ্বুদ্ধ করা কঠিন হয়ে যায়। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটা অবশ্য ঠিক না। এখনো আমাদের সিরিজ জেতা সম্ভব। যেহেতু বাকি আছে দুটি ম্যাচ। যদি পারি, সেটা হবে বিরাট অর্জন।