হাওর বার্তা ডেস্কঃ তরুণরা আসছে না, বাংলাদেশের কৃষকের গড় বয়স বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ বছরে। অথচ ১৯৮৮ সালে দেশের কৃষিতে নিয়োজিত চাষিদের গড় বয়স ছিল ৩৫ বছর। শনিবার (২৮জুলাই) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘এগ্রি মেকানাইজেশন: দি রোল অফ প্রাইভেট সেক্টর এন্ড এক্সেস টু ফাইনান্স’ শীর্ষক সেমিনারের মূল নিবন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এ তথ্য তুলে ধরেন।
মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করে সেমিনারের প্রধান অতিথি ড. আতিউর রহমান বলেন, অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি দেশের বিপুল সংখ্যক তরুণ আগের মতো কৃষিতে আসার উৎসাহ পাচ্ছে না। কৃষির যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমেই দেশের তরুণদের আবারও কৃষির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে কৃষির যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। এজন্য বেসরকারি খাতকেই অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর দেশের ব্যাংকিং খাত এক্ষেত্রে কার্যকর সহায়তা দিতে পারে।
এজন্য সরকার সৃষ্টি করতে পারে প্রয়োজনীয় নীতি তৈরী ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে যথাযথ পরিবেশ। তিনি বলেন, এসডিজি অর্জন করতে হলে আমাদের একর প্রতি ফসল উৎপাদনের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে হবে। অথচ আমাদের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ বছরে শতকরা ০.৭৪ ভাগ হারে কমছে। ১০৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক মিলিয়ন হেক্টর কৃষি জমিতে গ্রামীণ ও নাগরিক স্থাপনা বসানো হয়েছে। দারিদ্র হ্রাস করার জন্যেও কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি অকৃষি খাতের চেয়ে বেশি কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এক গবেষণার বরাতে তিনি আরও বলেন, কৃষি খাতে কর্মী প্রতি জিডিপি এক শতাংশ বাড়তে পারলে দারিদ্রতা কমবে শতকরা ০.৩৯ ভাগ।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, এ্যামিরাটস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মন্ডল, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি বিভাগ) মনোজ কান্তি বৈরাগী, সেমিনারের আয়োজক মেটালের গ্রুপ চিফ একক্সিকিউটিভ অফিসার এ এম এম ফরহাদ, এমইউএফজি ব্যাংক লিমিটেডের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফ ঢাকার ম্যানেজিং ডিরেক্টও হিডিয়াকি কোজিমা, কৃষক মো. মঞ্জুর হোসেন(পাম মঞ্জুর) প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন, মেটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিদ জামিল।