হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রমীলা ক্রিকেট দলের টেস্ট মর্যাদা চেয়ে আগামী দু’এক বছরের মধ্যেই আইসিসির কাছে আবেদন করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
জাহানারা-রুমানারা বর্তমানের সাফল্য ধারা ধরে রাখতে পারলেই বিসিবি টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার চেষ্টা চালাবে। টেস্ট খেলার মতো সামর্থ্য অর্জনের লক্ষ্যে নারী দলের কোচিং স্টাফ বাড়ানোরও চিন্তা করছে বোর্ড।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নারী ক্রিকেট দলের টেস্ট মর্যাদার বিষয়টি আমরা ফোকাস করব। সেক্ষেত্রে সবার আগে তাদের শারীরিক সক্ষমতার ওপর জোর দিতে হবে। আর এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কোচিং স্টাফ বাড়ানোর কথা ভাবছি।’
এরই মধ্যে সালমাদের জন্য নতুন প্রধান কোচ, সহকারী কোচ ও ফিজিও নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। নারী দলের উন্নয়নে বেশ কয়েকটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান বিসিবি সিইও। এবছর
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভরাডুবির পর টানা তিনটি সিরিজ ও টুর্নামেন্ট জিতেছে বাংলাদেশ মেয়েরা। নতুন কোচিং স্টাফ নিয়োগ দেয়ার পর মালয়েশিয়ায় এশিয়া কাপ জয়, আয়ারল্যান্ড সিরিজ জয় ও নেদারল্যান্ডসে টি ২০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ধারাবাহিক এই সাফল্যে মেয়েদের নিয়ে আরও বড় স্বপ্ন দেখছে বিসিবি।
তবে যেখানে কথা উঠেছে পুরুষ দলের অনেকেই টেস্ট খেলতে চান না, সেখানে বাংলাদেশের মেয়েদের টেস্ট খেলা কঠিন চ্যালেঞ্জই হবে। এখন পর্যন্ত মেয়েদের মোট ১০টি দেশ টেস্ট খেলেছে।
মোটামুটি ধারাবাহিকভাবে টেস্ট খেলেছে শুধু অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। ১৯৩৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৭৩টি টেস্ট খেলেছে অস্ট্রেলিয়া নারী দল। ইংল্যান্ড খেলেছে সর্বোচ্চ ৯৪টি টেস্ট।
১৯৩৫-২০০৪ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড খেলেছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৫টি টেস্ট। ১৯৭৬-২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের মেয়েরা খেলেছে মাত্র ৩৬টি টেস্ট। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১২টি করে টেস্ট খেলেছে।
এছাড়া পাকিস্তান তিনটি এবং আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলংকার মেয়েরা একটি করে টেস্ট খেলেছেন।